সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
কয়েকদিন আগে সিআইডির অফিসারদের কাছে খবর আসে, পুলিসে চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি প্রতারণা চক্র গজিয়ে উঠেছে। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে বেড়াচ্ছে তারা। বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে চাকরির জন্য আট থেকে দশ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, প্রতারক চক্রের পাণ্ডারা ভবানী ভবনের ক্যান্টিনে বসে দেখা করেছে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে। এরপরই খোঁজ শুরু হয়। প্রতারিত এক যুবকের খোঁজ মেলে। তাঁর কাছ থেকেই এই ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের বিষয়ে জানতে পারেন অফিসাররা। এরপরই বেলুড় থানায় প্রতারণা, ষড়যন্ত্র, জালিয়াতিসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে সিআইডি। তদন্তে জানা যায় চক্রের মূল পাণ্ডা বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা অরিন্দম বিশ্বাস। তার সঙ্গে রয়েছে সৌরভ চৌধুরী, অরিজিৎ সরকার ও বিনায়ক সাঁফুই নামে তিন যুবক। এরপরই সিআইডির একটি টিম বাঁশদ্রোণী ও পাটুলি এলাকায় হানা দিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলিসের চাকরির পরীক্ষার জন্য তারা একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলে। রাজ্য পুলিসে কত লোক নিয়োগ হবে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন তারা খেয়াল করত। এরপর সেই কপি তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিত। এমনকী যোগাযোগ করার জন্য লিঙ্ক দেওয়া হতো। চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই এই সাইট ঢুকে লিঙ্কে ক্লিক করতেন। সেখানেই ফর্ম ফিলাপ করানো হতো। ফর্মে যে ফোন নম্বর দেওয়া হতো, তা দেখে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত প্রতারক চক্র। বলা হতো, নিয়োগের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে। চাকরি পেতে গেলে দিতে হবে টাকা। তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে চাকরির আশায় অনেকেই টাকা দিয়ে দিতেন।