কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এদিন বিল জটিলতা নিয়ে রাজ্যপাল রাজভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিষদীয় নেতৃত্বের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে শেষমেশ কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট যোগ দেয়। দুই বিরোধী শিবিরের পরিষদীয় নেতা আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের প্রসঙ্গ ওঠে। এই ইস্যুতেই চলে আসে মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপালের তিক্ত সম্পর্কের কথাও। মান্নান-সুজনরা বলেন, আমরা ওঁকে তখনই বলেছি, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও রাজ্যের স্বার্থে এই পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়। অতীতে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারপক্ষের কিছু বিষয়ে মতের অমিল হয়েছে। কিন্তু এই পর্যায়ে সংঘাত কখনও পৌঁছয়নি। আপনি এখনও সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করেছেন বলে আমরা মনে করি না ঠিকই। সরকারও তাঁকে অনেক বিষয়ে সহযোগিতা করছে না। কিন্তু এসব সত্ত্বেও প্রতিদিন সরকারের সঙ্গে রাজভবনের ঝগড়ার বিষয়টি মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। রাস্তাঘাটে তারা এনিয়ে চর্চায় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে দুটি পক্ষে। তাই সরকারের পাশাপাশি রাজ্যপালকেও এবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মান্নান বলেন, আমি ওঁকে স্পষ্ট জানিয়েছি যে, আমরা কংগ্রেসের দাস। দল যা বলবে, তাই করব। অন্যদিকে সুজন বলেন, আমরা যে রাজ্যপাল পদের নীতিগতভাবে বিরোধী, তাও ওঁকে জানিয়েছি। তবে সংবিধানকে মেনে চলি বলেই ওঁর পদকে অসম্মান করি না। মান্নান-সুজনদের কথায়, রাজ্যপাল সব শুনে বলেছেন, সংবিধান রক্ষা করার জন্য শপথ নিয়েছেন তিনি। সংবিধানের বাইরে তিনি একটিও পদক্ষেপ করেননি। কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁর সেই সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে চাইছে প্রতিপদে। দায়িত্বে থাকতে এ জিনিস তিনি মুখ বুঁজে সহ্য করবেন না।