সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি (স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি)। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি বেশি হলে আবহাওয়াগত বিচারে সেটিকে তাপপ্রবাহ বলা হয়। এর সঙ্গে তাপমাত্রা অবশ্যই ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে হবে। এই মাপকাঠিতে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ছিল বলা যায়। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৪১.৫ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি ছিল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি। ওই এলাকায় এদিনও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি ছিল।
তবে এই গরমের মধ্যে একটাই আশার কথা শোনা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ১২ মে অর্থাৎ রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া শুরু হতে পারে। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর মানে এই নয় যে রবিবারই ঝড়-বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মিহির গুহ জানিয়েছেন, ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার জন্য যে জলীয় বাষ্প প্রয়োজন, সেটা দখিনা বাতাসের কল্যাণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঢুকছে। এখন দরকার হল কোনও নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা নিদেনপক্ষে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়া। দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের উপর নিম্নচাপ তৈরি হলে জোরালো কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখন দক্ষিণবঙ্গে যে জলীয় বাষ্প ঢুকছে, তা উত্তরবঙ্গের দিকে গিয়ে হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।
জলীয় বাষ্পপূর্ণ সক্রিয় দখিনা বাতাসের জন্যই উপকূল এলাকায় ভ্যাপসা অস্বস্তিকর গরমের রমরমা। এদিন কলকাতায় দুপুরবেলা আপেক্ষিক আর্দ্রতার মাত্রা বুধবারের ৬৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশ হয়। চড়া তাপমাত্রার সঙ্গে জলীয় বাষ্প গরম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে, বিহার, ঝাড়খণ্ডে চলছে তাপপ্রবাহ। সেখান থেকে পশ্চিমী শুষ্ক গরম হাওয়া সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। পশ্চিম থেকে শুকনো গরম হাওয়া আরও সক্রিয় হলে গোটা দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ হতো, এটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা।