সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
সেনা সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেনারেল বিপিন রাওয়াত পানাগড়ের আর্জেন সিং বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হেলিকপ্টারে নামেন। বর্তমানে আর্জেন সিং ছাউনিতে সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস যুদ্ধবিমানের ঘাঁটি করা হয়েছে। যা উত্তরপ্রদেশের হিন্দন ছাড়াও শুধুমাত্র রয়েছে এই পানাগড়ে। তবে চীন সীমান্ত থেকে ১৫০ কিমি দূরে পানাগড় ঘাঁটি অবস্থিত হওয়ায় আগামীদিনে যে কোনও পরিস্থিতির কথা ভেবে ইতিমধ্যেই নিজেদেরকে তৈরি রেখেছে ভারতের বায়ু এবং স্থল বাহিনী। এদিন পানাগড় সেনাছাউনির পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন সেনাপ্রধান।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ তিব্বত সীমান্তে চীনের সামরিক প্রস্তুতির জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দেশের প্রথম ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয় ‘ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস’। স্ট্রাইক কোরের অর্থ, আক্রমণাত্মক বাহিনী। এই বাহিনী সাধারণত সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে থাকে না। তাদের দায়িত্ব শত্রু কোনও দেশে আক্রমণ চালিয়ে এলাকা দখলে নেওয়া। ভারত-চীনের দীর্ঘ সীমান্ত এলাকায় অধিকাংশই পার্বত্য অঞ্চল। পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধে সক্ষম প্রায় ৯০ হাজার সেনার বিশেষ বাহিনী ‘ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস’ গড়া শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। সেই ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস স্থায়ীভাবে পানাগড়ে স্থানান্তর হওয়ার পর এই প্রথম সেনাপ্রধান এই সেনাছাউনিতে এলেন।
তিনি দীর্ঘক্ষণ ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠক করেন। কীভাবে ব্রহ্মাস্ত্র কর্পসের কমান্ডারকে তৈরি রাখতে হবে, কী কী রণকৌশলে নিজেদের সজ্জিত রাখতে হবে, পেশাগত এবং মানসিকভাবে কোথায় কোথায় প্রস্তুত থাকতে হবে, এগুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। তিনি ব্রহ্মাস্ত্র কর্পসের ছাউনি এবং যাবতীয় পরিকাঠামো নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এই সফরে কর্পসের সব পদাধিকারী সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এই ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস ভারতীয় সেনার জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, তা তাঁদেরকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেন। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, চীন সীমান্ত থেকে দেশের অনেকটাই ভিতরে হওয়ায় পানাগড় মিলিটারি স্টেশনের স্ট্র্যাটেজিগত গুরুত্ব অনেকটাই। যে কোনও পরিস্থিতিতে চীন সীমান্তে পৌঁছতে পানাগড় মিলিটারি স্টেশন এবং আর্জেন সিং বায়ুসেনা ঘাঁটি সব থেকে উল্লেখযোগ্য। মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সদর দপ্তর হয়েছে পানাগড়ে। সে জন্য আলাদা পরিকাঠামো গড়া হয়েছে। বিশেষ এই সেনা দল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দ্রুত দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দিতে পানাগড়ে তৈরি হয়েছে ‘সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস’ বিমানের ঘাঁটি। এই বিমান প্রায় ১৯ টন ওজন নিয়ে দুর্গম এলাকায় স্বল্প উচ্চতায় উড়তে পারে। এবড়ো-খেবড়ো রানওয়েতেও ওঠানামা করতে সক্ষম। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের অধীনে নাগাল্যান্ড ও অসমে দু’টি মাউন্টেন ডিভিশন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।