কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
ট্রেনের কামরায় ঠাকুমার পাশে বসেছিল পরিধি। আচমকা তিনবার হাড় ভেঙে দেওয়া ঝাঁকুনি। কামরার সকলেরই অল্পবিস্তর চোট। চিৎকার করে ওঠে সবাই। কয়েকজন কাঁদতে শুরু করে। পরিধির পক্ষে দুর্ঘটনার বিষয়টি তখনই বোঝা সম্ভব ছিল না। তবে আশপাশের সবাইকে কাঁদতে দেখে সেও কাঁদতে শুরু করে। ঠাকুমাকে আঁকড়ে ধরে। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরে পরিধি। এখনও ওর খাওয়া দাওয়া কার্যত বন্ধ।
বারাসত পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরায়ন ব্লক-এ’তে বাড়ি রায় পরিবারের। পরিধির বাবার নাম সোমনাথ। মা অঞ্জু রায় গৃহবধূ। ঠাকুমার নাম বাসন্তী রায়। পরিধি বারাসত গার্লস হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ১৬ জুন জলপাইগুড়িতে রাজ্যস্তরের টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিল। সঙ্গে গিয়েছিলেন বাবা, মা ও ঠাকুমা। ১৭ তারিখ ফেরার পথে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে স্লিপার কোচে ওঠেন। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। আটটা ৫০ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে পরিধিদের ট্রেনের কামরা। শুরু হয় কান্নাকাটি। তারপর ট্রেন থেকে নামার পরই সেই ভয়ঙ্কর চিত্র। মঙ্গলবার বাড়িতে বসে ছলছলে চোখে সে জানাল, ‘আমি কাঁদছিলাম। ঠাকুমাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। আর কখনও ট্রেনে আমি উঠব না।’ সোমনাথবাবু বলেন, ‘মেয়েকে কামরা থেকে নামানোর পর চারদিকের পরিস্থিতি দেখে ও মারাত্মক ভয় পেয়ে যায়। সে ভয় এখনও কমেনি।’ পরিধির ঠাকুমা বাসন্তী রায় বলেন, ‘কেন বারবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে বুঝি না। সোমবার সকলেই যেন মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখলাম।’