অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
শনিবার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা ছিল জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া হসপিটাল মাঠে। সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘড়ির কাঁটায় প্রায় দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট। হেলিকপ্টার এসে পৌঁছলো হেলিপ্যাডে। ততক্ষণে গোটা হসপিটাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ। লোহার ব্যারিকেড ঠেলে ভিড় পৌঁছে গিয়েছে মূল রাস্তায়। আশেপাশের বাড়ির ছাদ, বারান্দা, জানলা– কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। হাজার হাজার উৎসাহী চোখ একবার দর্শন করতে চাইছে ‘দিদি’কে। ভিড়ের অধিকাংশই মহিলা অথবা কলেজ পড়ুয়া। মমতার দর্শন পেতেই উঠল উলুধ্বনি। বাজল বেশ কয়েক ডজন শঙ্খ। শঙ্খধ্বনিতেই বরণ করা হল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। স্টেজে ওঠা পর্যন্ত টানা চলল মহিলাদের শাঁখের আওয়াজ। সভায় যোগ দেওয়া সুপ্রিয়া দাস নামে এক মহিলা বলেন, দিদি আমাদের গর্ব। সামনে থেকে তো ওঁকে বরণ করতে পারব না। তাই দূর থেকেই শাঁখ বাজিয়ে বরণ করলাম। আরেক মহিলা বলেন, অন্য সরকারের আমলও দেখেছি। কেউ মহিলাদের কথা এভাবে ভাবেনি। দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন। আমরা এভাবেই কৃতজ্ঞতা জানালাম।
সভাস্থলে প্রচুর ভিড় ছিল ছাত্র-যুবদেরও। স্থানীয় শোভারানী কলেজের তিন ছাত্রী এদিন এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখতে। তাঁদের কথাতেই, আমরা দিদির ‘ফ্যান’। কেন? প্রশ্ন করায় অর্পিতা রায় নামে এক ছাত্রী বলেন, দিদি মেয়েদের জন্য এত কথা ভাবছেন। রূপশ্রী পাচ্ছি, কন্যাশ্রী পাচ্ছি। হেঁটে স্কুলে যেতাম, সবুজ সাথী পেয়েছি। তাহলে কেন ওঁর জন্য আসব না? আমাদের মত যাঁরা গ্রামে থাকেন, তাঁদের জন্য কন্যাশ্রী কতটা উপকার করেছে, তা বলে বোঝানো যাবে না। বৈশাখী রায় নামে আরেক ছাত্রী বলেন, মহিলাদের জন্য দিদি একাধিক প্রকল্প এনেছেন। আমার প্রথম ভোট তাই দিদিকেই দিয়েছিলাম। এদিন শুনলাম তিনি সভায় আসছেন। তাই তিন বন্ধু মিলে দেখতে
চলে এসেছি।