দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
সরোবরে দুর্ঘটনার কবল থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ঘরে ফিরে এসেছে সাউথ পয়েন্টের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সংস্কার চন্দ্র। গত শনিবার সন্ধ্যার ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতার কথা শোনাল সংস্কার। তার দাবি, সেদিনই নতুন রুটে রোয়িংয়ে বেরিয়েছিলাম আমরা চার বন্ধু। প্রশিক্ষককে বলেছিলাম, ‘আজ (শনিবার সন্ধ্যায়) ক্যালকাটা কোর্সে রোয়িং করতে চাই!’ শিক্ষার্থীদের দাবিতে ‘সিলমোহর’ দেন প্রশিক্ষক। সংস্কারের কথায়, বিকেল পৌঁনে চারটে নাগাদ রোয়িং শুরু করি। তখনও আকাশে সূর্য দেখা যাচ্ছিল। প্রথম ল্যাপের পরই কালো মেঘের দেখা পাই আকাশে। দ্বিতীয় ল্যাপের সময় ঝড় ওঠে। তখন আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় আইল্যান্ডের মাঝখানে। তাড়াতাড়ি পাড়ে পৌঁছনোর জন্য জোড়ে দাঁড় বাইছিলাম। ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডবে একজনের হাত থেকে ছিটকে যায় দাঁড়। নিমেষে বেসামাল হয়ে উল্টে যায় বোটটা।
সংস্কার বলে, ওই অবস্থায় প্যানিক হয়ে গিয়েছিল। রোয়িং বোটে জুতো আটকানো থাকে। খুলতে পারছিলাম না। এদিকে, মুষলধারে বৃষ্টি তখন কাঁটার মতো এসে লাগছিল গায়ে। ফাঁকা জায়গায় অথই জলে পড়ে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছিলাম। ট্রেনার বলেছিলেন, বোট ধরে রাখ, ডুববে না। হু-হু করে জল ঢুকে যাওয়ায় বোট সোজা রাখা যাচ্ছিল না। সেই সময় ট্রেনার নির্দেশ দেন, তিন সেকেন্ডের জন্য বোট ছেড়ে দাও। বোট নিজে থেকে সোজা হয়ে যাবে। তখনই সতীর্থরা ডুবে যায় বলে মনে করছে সংস্কার। তার কথায়, নিজেকে সামলে নেওয়ার পর সৌরদীপ ও পূষণকে দেখতে পাইনি। জলে স্রোত থাকায় নীচের দিকে টানছিল। সরোবরের ওই অংশটি গভীরতম হওয়ায় নীচে কোনও আগাছা-কচুরিপানা ছিল না। ট্রেনার বলেছিলেন, যদি পার, সাঁতরে পাড়ে চলে যাও। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ক্লাব কর্তাদের দাবি, বোট উল্টে গেলে সাঁতার কাটার পরামর্শ দেওয়া হয় না। তাহলে ওই বোটের ট্রেনার কেন সাঁতার কাটার নির্দেশ দিলেন? তাও আবার গভীরতম অংশে?