সংবাদদাতা, কাঁথি: দীঘায় বেড়াতে এসে ফের এক পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। কাঁকড়ার ঝাল খেয়ে বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সুদীপ মুখোপাধ্যায়(৬১)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪পরগনা জেলার সোদপুরের পানিহাটির সুখচর এলাকায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দীঘায় বেড়াতে আসেন সুদীপবাবু। রবিবার দুপুরে তাজপুরে বেড়াতে যান সকলে।  সেখানে একটি হোটেলে সপরিবারে খাওয়াদাওয়া করেন। 
পরে তাঁরা দীঘায় চলে আসেন। দীঘায় বিকেল ৪টের পর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে সমুদ্র স্নানে নামেন সুদীপবাবু। স্নানের সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি  ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবারের লোকজন পুলিসকে জানিয়েছেন, তাজপুরে হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় সুদীপবাবু সেখানে কাঁকড়ার ঝাল খান। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, খাবারে থেকে বিষক্রিয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন। ওসি অমিত দেব বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দীঘা থানার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম নন্দিনী দাস(১৬)। রবিবার বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে দীঘা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নন্দিনী দীঘা দেবেন্দ্রলাল জগবন্ধু শিক্ষাসদনের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। কিশোরীর বাবা বিনোদবিহারী দাস বলেন, পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় তার মা তাকে বকাবকি করেছিল। সেই অভিমানে ও এমনটা করবে বুঝতে পারিনি।