পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় বাড়িগুলির মাপজোক চলে। সকাল সাড়ে ন’টা থেকে শুরু হয় তোড়জোড়। ভাঙার কাজ শুরুর আগে সাবধানতা ও প্রস্তুতি নিতেই বিকেল নেমে যায়। বাড়ির বাসিন্দারা জিনিসপত্র বের করে নিয়ে যান। সিইএসসি ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎবাহী তারের সঙ্গে বাড়িগুলির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। যে বাড়িগুলি ভাঙা হবে, সেখানে প্রথমে লোহার বিম দিয়ে ‘পিলারিং’ করা হয়। তা না করলে উপর থেকে বাড়ি ভাঙার সময় নীচ থেকে তা হুড়মুড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা থাকে। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশেষজ্ঞরা বাড়িগুলির পরিস্থিতি ফের একবার খতিয়ে দেখেন। তারপর একটি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়। ওই তিনটি বাড়ির পাশাপাশি এলাকার অন্য বাড়িগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছেন যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের রিপোর্টের উপরেই নির্ভর করছে সেগুলির ভবিষ্যত।
সংশ্লিষ্ট মেট্রো প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে কেএমআরসিএল। তাদের এক কর্তা বলেন, ওই জায়গায় সঙ্কীর্ণ গলিতে বুলডোজার ঢোকানো সম্ভব নয়। তাছাড়া, অন্যান্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে কম্পন তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুরনো কলকাতার এই অংশে ঠেসাঠেসি দাঁড়িয়ে রয়েছে শতাধিক বছরের প্রাচীন একের পর এক বাড়ি। অন্যান্য বাড়িগুলি অক্ষত রাখার ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি। তাই যতটা সম্ভব সাবধানতা সহকারে ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এদিন বিকেলে এলাকা পরিদর্শনে যান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।