Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কামরাজ প্ল্যানেই বাজিমাতের লক্ষ্যে মোদি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সালটা ১৯৬২। তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন জওহরলাল নেহরু। কিন্তু স্বস্তিতে নেই তিনি। আতঙ্কের কারণ চীনা অনুপ্রবেশ। লাদাখ সীমান্তে লাগাতার চলছে লালফৌজের দাপট। দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। তাহলে কি চীনের সামনে মাথা নত করতে হবে ভারতের গণতন্ত্রকে? কংগ্রেসের এই সরকার এতটাই ব্যর্থ? লালবাহাদুর শাস্ত্রী বললেন, ‘পণ্ডিতজি যব ছোটি আহুতি নেহি দি যাতি, তব বড়ি আহুতি দেনি পড় যাতি হ্যায়।’ বুঝলেন নেহরু। সরিয়ে দেওয়া হল প্রতিরক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণ মেননকে। ছোট একটা আহুতি। মানুষের উদ্বেগ এবং ক্ষোভের ক্ষতে খানিক প্রলেপ। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হল না। পণ্ডিতজি বুঝলেন, কংগ্রেসের উপর থেকে আস্থা সরে যাচ্ছে মানুষের। দলের নেতারা কিছুতেই সাধারণের সঙ্গে কানেক্ট করে উঠতে পারছেন না। দেশবাসীর কাছে তাঁরা যেন বহু দূরের... ভিন গ্রহের জীব। প্রভাব পড়ছে উপনির্বাচনে। সিঁদুরে মেঘ দেখলেন নেহরু। কিন্তু কী করা যায়? আসরে নামলেন মাদ্রাজের মুখ্যমন্ত্রী তথা নেহরুর ঘনিষ্ঠ নেতা কুমারস্বামী কামরাজ। বললেন, ‘চীন কী করবে, সেটা আপনার হাতে নেই। আপনি খুব বেশি হলে আলাপ আলোচনা চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার কথা ভাবতে পারেন। কিন্তু আপনার হাতে আছে সরকার... দল। মন্ত্রিত্ব নিয়ে যাঁরা বছরের পর বছর জাঁকিয়ে বসে রয়েছে, তাঁদের সবাইকে সরিয়ে দিন। তাঁরা সবাই পার্টির কাজে ফিরবেন। মানুষ আবার তাদের চেনা পরিচিত নেতাদের নিজেদের মধ্যে পাবে। আর নতুন মুখ নিয়ে আসুন মন্ত্রিত্বে। পূর্ণ উদ্যমে কাজ করবেন তাঁরা।’ নেহরু বুঝলেন, এটাই হবে দাওয়াই। নিজেও সরে যেতে চাইলেন তিনি। কিন্তু কামরাজ বললেন, ‘এটা করবেন না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার আলাদা একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। সেই জায়গায় এখনও কেউ পৌঁছতে পারেনি।’ সেটাই করেছিলেন নেহরু। ফলও পেয়েছিলেন... ভোটে। ভারতের রাজনীতিতে এটাই মিথ হয়ে যাওয়া কামরাজ প্ল্যান।
কামরাজ এখন আর নেই। কিন্তু তাঁর প্ল্যানটি পুরোমাত্রায় রয়ে গিয়েছে। সেই পরিকল্পনা এখন অবশ্য কংগ্রেস কার্যকর করছে না! বরং ওই পথে হাঁটা শুরু করেছে তাদেরই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী—বিজেপি। দশ বছর সরকারে থাকার পর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া গায়ে লাগবেই। আর তার সঙ্গে যদি থাকে বেকারত্ব, বেহাল অর্থনীতি, আকাশছোঁয়া পেট্রল-ডিজেল, অগ্নিমূল্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তারপরও ছাতি উঁচিয়ে বিজেপি কীভাবে সরকার চালিয়ে যেতে পারছে? কারণ একটাই, দীর্ঘদিন ধরেই লাট খাচ্ছে প্রধান বিকল্প কংগ্রেস। নেতৃত্বহীনতায় তারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ঢাকঢোল পিটিয়ে হচ্ছে চিন্তন শিবির। তবে সেখান থেকে কিন্তু কোনও নেতা উঠে আসছেন না! ঘোষণা হচ্ছে, এক পরিবার এক টিকিট। ব্যতিক্রম গান্ধীরা। তাঁদের জন্য বেশি টিকিট ধার্য। বছরের পর বছর ধরে যোগ্যতা প্রমাণে ব্যর্থ রাহুল গান্ধীকেই নেতৃত্বে ফেরানোর জন্য ঝুলোঝুলি চলছে। আর নিভৃতে বসে হাসছেন নরেন্দ্র মোদি। সমস্যা তিনি জানেন। উপায়? নিজেরা মাথা খুঁড়ে বের করতে নাই পারেন, ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে রয়েছে মারাত্মক সব বিশল্যকরণী প্ল্যান। তারই মধ্যে অন্যতম কামরাজের থিওরি। বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে ভোট এলেই ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীকে বদলে দিচ্ছেন মোদি-শাহ। তাঁরা জানেন, আদপে তাঁদের দলের এইসব সরকার ব্যর্থ। যদি মুখ বদলে ব্যর্থতাকেই একটা মোড়কে সাজিয়ে পেশ করা যায়? পাবলিক খেয়ে যাবে। কারণ তারাও জানে, বিকল্প নেই। এই গেরুয়াদের ধরেকরেই চলতে হবে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই ভালো হবেন! ঠিক যেমনটা করলেন ত্রিপুরার ক্ষেত্রে। দিনের বেলা বিপ্লব দেব দেখা করলেন অমিত শাহের সঙ্গে, আর বিকেলে ফিরেই রাজ্যপালের কাছে পৌঁছে দিলেন ইস্তফাপত্র। কারণ কী? তিনি নাকি দলের জন্য কাজ করতে চান। একই নজির বিজেপি সম্প্রতি রেখেছিল গুজরাত, উত্তরাখণ্ড (দু’বার), কর্ণাটকে। শুধু কি তাই? কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও একদফা রদবদল করে ফেলেছেন মোদিজি। বহু নতুন মুখ এসেছেন, অনেক পুরনো মুখকে বিদেয় দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগেও বড়সড় আর একদফা রদবদল তিনি করতেই পারেন। সেটাও হবে কিন্তু ওই কামরাজ প্ল্যানেরই অঙ্গ। মোদিজি নিজে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন। তিনি নিজেই সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। অনেক কাজ বাকি তাঁর। ফলে ৭৫ ঊর্ধ্বদের জন্য যে রাজনৈতিক সন্ন্যাস তিনি দলের মধ্যে বাধ্যতামূলক করেছেন, মোদিজি নিজেই নিজেকে সে সব থেকে ছাড় দিয়েছেন। ফলে রাজা থাকবেন, বদলে যাবে তাঁর নীচের তলা। ঠিক যেমন নেহরু করেছিলেন। মোদি জানেন, এভাবে অন্তত মানুষের সামনে একটা সংস্কারমুখী ক্যানভাস সাজাতে পারলেই কেল্লা ফতে। আপামর ভোটারকুল বলবে, ‘এই তো মোদিজি অযোগ্যদের পোষেন না। দুর্নীতির সঙ্গে আপস করেন না। ক্ষমতার লোভ তাঁর একটুও নেই। সব বদলে দিতে হাত কাঁপে না তাঁর।’ বড় বড় নেতাদের দলের কাজে নামাবেন তিনি। আরও বেশি প্রচার হবে বিজেপি সরকারের সাফল্যের। প্রকাশ্যে আসবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির এজেন্ডা, হিন্দুত্ব রাজনীতি, বিভাজন। দেশের ছোট ছোট জনপদে বাধবে অশান্তি... ফলে দেশ, রাজনীতি, অপদার্থতা নিয়ে ভাবার সময়ও আর থাকবে না। মানতেই হবে, এটা কামরাজ প্ল্যানের একটা নয়া রূপ। আর সেই ফাঁকে কংগ্রেস কী করবে? চিন্তন শিবির?
কংগ্রেস হল শতাব্দীপ্রাচীন পার্টি। একটু ঠাঁটবাট থাকবেই। কিন্তু তার সঙ্গে রাজনৈতিক বোধ এবং বাস্তবতা থাকাটা বাঞ্ছনীয়। সেটারই বড্ড অভাব। তারপরও হাঁকডাকের শেষ নেই। উদয়পুরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী কী বলছেন? আঞ্চলিক দলগুলিকে দিয়ে নেতৃত্ব হবে না। ওই ভারটা কংগ্রেসের কাঁধেই থাক। কিন্তু রাহুল মহাশয়, আপনার নিজের দলেরই তো নেতৃত্বের ঠিকঠিকানা নেই। অসুস্থ সোনিয়া গান্ধীকে এখনও দলের হাল ধরতে হিল্লি দিল্লি করতে হয়। বাঘা বাঘা ‘প্রাচীন’ নেতারা আলাদা অংশ তৈরি করে বিদ্রোহ করেন। আর প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমাকে নেতৃত্বে টেনে পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বাধাবেন না’! এই দলই নাকি মহাজোটের নেতৃত্বে অটোম্যাটিক চয়েজ? 
আসলে বিজেপির এটাই এজেন্ডা। কংগ্রেসকে লাগাতার নিশানায় রেখে যাওয়া। তারা জানে, কংগ্রেস ছাড়া মহাজোট এবং মোদিজিকে পর্যুদস্ত করার কাজটা কঠিন। আঞ্চলিক দলগুলি ফুলেফেঁপে উঠতেই পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এখনও কেউ নেতৃত্বের স্বার্থচিন্তা ছেড়ে বেরিয়ে আসার সাহস দেখাতে পারেননি। তাই কংগ্রেসকে নিশানা করে গেলেই হবে। এই ধুঁকতে থাকা অবস্থাতেও তারা নিজেদের মহান দল হিসেবে ভাববে, আর তার ফল? রাহুল গান্ধীরা তোয়াক্কাই করবে না আঞ্চলিক শক্তিগুলির। রাজনীতির ময়দানে গুরুত্বহীন করে রাখার ছকটাই অনন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কিছুতেই বিরোধী শক্তির সামনের সারিতে আসতে না পারেন—এটাই লক্ষ্য বিজেপির। বরং এলেবেলের স্তরে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস যত খুশি গুরুত্ব পাক, ক্ষতি নেই। কিছুতেই যেন জোটের জমি শক্ত না হয়। তাহলেই মানুষ বিকল্প না খুঁজে মোদিজিতে ফের আস্থা রাখবেন। চব্বিশেও পদ্ম ফুটবে সংসদে। 
নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুটছেন মোদি—তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রিত্ব। আঞ্চলিক দলগুলি যেন জাতীয় রাজনীতির মূল মঞ্চে উঠে আসার সুযোগ না পায়। তাহলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। শাসক যা বলবে, তাকেই ধ্যানজ্ঞান হিসেবে মানুষ আর মানবে না। হ্যাটট্রিকের ক্ষেত্রে এ যে বিরাট বাধা! ইন্দিরা গান্ধী দু’বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনবারের শিরোপা একজনেরই—জওহরলাল নেহরু। চীনের চোখরাঙানি আজও আছে। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় রয়েছে যে কামরাজ প্ল্যানও! রাহুল গান্ধী চিন্তন শিবির করুন... ভারত জোড়োর স্লোগান তুলুন। মোদির লক্ষ্য স্পষ্ট—বিভাজনেই ধরা দেবে নেহরুর রেকর্ড।
ভালো, খারাপ ও সন্দেহজনক
পি চিদম্বরম

যদি মহিলাদের একটি বড় অংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন এবং শিশুদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ কম ওজনের কিংবা রক্তাল্পতার শিকার হয়, পাশাপাশি অনেক শিশু স্টান্টেড অথবা ওয়েস্টেড হয়, তবে তার কারণ পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। আমার মনে হয় যে খাদ্যের অভাব হল, দারিদ্র্যের একটি নির্ধারক সূচক। একজন খুদে ভগবানের সন্তান হিসেবে ওই গরিব মানুষগুলিকে এই সরকার ভুলিয়ে দিতে চাইছে। বিশদ

16th  May, 2022
মোদির শাসনে শিক্ষা
ক্রমেই ধনীর পণ্য!
হিমাংশু সিংহ

কোভিডে কত পড়ুয়া অভিভাবক হারিয়েছে, তার হিসেব কে রাখে। তাদের এখন স্কুলে পাঠাবে কে? এই ব্যাপক ড্রপ আউট সমাজের পক্ষে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। অথচ আর পাঁচটা ব্যর্থতা নিয়ে নির্লিপ্ত থাকার মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখে কুলুপ। সরকার বাহাদুর এখন পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের হিসেব নিকেশে ব্যস্ত। গরিবের ঘরে পড়াশোনার আলো জ্বেলে তো আর চব্বিশে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হবে না। তাই সেই দিকে নজর নেই কারও। বিশদ

15th  May, 2022
দিশা দেখাতে এসে ডুবিয়ে গেলেন ‘চাণক্য’
তন্ময় মল্লিক

অমিত শাহের বঙ্গ সফরের উদ্দেশ্য ছিল দলের কোন্দল মেটানো এবং হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাওয়া বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উদ্ধারের পথ বাতলানো।
বিশদ

14th  May, 2022
সমস্যাগুলি রাষ্ট্র স্বীকারই করছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র যখন তার মস্তিষ্কহীন অনুগত সেনাদের দিয়ে আমাদের মধ্যে নানারকম বিভাজনের বীজ বপন করতে থাকে, তখন ভয় হয় যে, আসলে বোধহয় কিছু গোপন করতে চায় রাষ্ট্র। তাই এভাবে আমাদের চিন্তাকে ডাইভার্ট করে দিতে চায়। আমাদের বুদ্ধিহীনতায় রাষ্ট্রের সুবিধা ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

13th  May, 2022
হলুদ ধাতুর আগুন দর
মৃণালকান্তি দাস

হলিউডের সিনেমা ‘ম্যাকানাস গোল্ড’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯-এ। লুকিয়ে রাখা সোনার সন্ধান রয়েছে একটা ম্যাপে। সেই ম্যাপ একবার দেখেই পুড়িয়ে ফেলেছিলেন গ্রেগরি পেক।
বিশদ

12th  May, 2022
লড়াই ও জনকল্যাণ মিলিয়েই মমতা মডেল
হারাধন চৌধুরী

 

বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ হতাশ পার্টিকর্মীদের লড়াইয়ের ‘মমতা মডেল’ ফলো করার নিদান দিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের জানা উচিত, শুকনো কথায় চিঁড়ে ভিজবে না। বাংলার মানুষের মন জয় করতে হলে বাংলার জন্য একে একে অনেক কিছু করতে হবে।
বিশদ

11th  May, 2022
গেরুয়া ভারতে মিডিয়ার
স্বাধীনতা! অলীক নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কৌতূহলী চোখগুলো তাকিয়ে রয়েছে তাঁর দিকে। কানাঘুষো চলছে, ‘ম্যাডামকে প্লেনে উঠতে দেয়নি!’ তারপরই প্রশ্ন, ‘কেন?’... ‘কে এই মেয়েটা?’... ‘কী করেছে?’ ...‘টেররিস্ট নাকি?’
বিশদ

10th  May, 2022
নাগরিক বনাম রাষ্ট্র বনাম স্বাধীনতা
পি চিদম্বরম

ভারতীয় রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানার একটি ইচ্ছাকৃত এবং দৃঢ় প্রয়াস জারি রয়েছে। চুপিসারে জনগণকে প্রান্তে এনে ছিন্নভিন্ন করে তাদের স্বাধীনতা ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২২-এ, ভারত ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫০-এ নেমে এসেছে। সজাগ নাগরিকেরা সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়ছেন, যে প্রতিষ্ঠান নিজেকে সতর্ক প্রহরী হিসেবেই বর্ণনা করেছে। স্বাধীনতা একজন ত্রাণকর্তার প্রতীক্ষায়।
বিশদ

09th  May, 2022
মমতার বাংলাকে নিয়ে অমিত
শাহদের হতাশা স্বাভাবিক
হিমাংশু সিংহ

 

বোঝা গেল, বাংলা নিয়ে অমিত শাহদের খোয়াব কেটে গিয়েছে। দু’দিনের ‘ফ্লপ’ বঙ্গ সফরই তার অকাট্য প্রমাণ। দীর্ঘ একবছর পরে এসেও দু’শো আসন জেতার কথা তাই মুখেই আনলেন না নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি।
বিশদ

08th  May, 2022
পরাজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিজেপির ভরসা সেই কুৎসা
তন্ময় মল্লিক

এলেন, ঘুরলেন এবং প্রাণ নিয়ে নিরাপদে দিল্লি ফিরে গেলেন। অমিত শাহের বঙ্গ সফরের ক্যাচলাইন এটাই। ‘বাংলায় গেলে খুন হয়ে যেতে পারেন’, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই কটাক্ষে বিজেপি নেতারা টেবিল চাপড়ে মজা নিলেও বাঙালির হৃদয় হয়েছিল ক্ষতবিক্ষত।
বিশদ

07th  May, 2022
জাতীয় রাজনীতিতে বাঙালির প্রতি অবহেলা কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

বেশ কিছু বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে আর বাঙালি নেতা নেই। বাঙালি রাজনৈতিক নেতানেত্রী কোনও জাতীয় স্তরের দলে এখন আর গুরুত্ব পাচ্ছেন না। 
তবে, জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র বাঙালি প্রতিনিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশের এক ও একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব জাতীয় স্তরে এখন অনেক বেশি। বিশদ

06th  May, 2022
আছে যুদ্ধ, আছে মৃত্যু, আছে বাণিজ্য
মৃণালকান্তি দাস

নো আর্মস বিজনেস উইদাউট এনিমিস ইজ পসিবল! শত্রু ছাড়া যুদ্ধ হয় না। যুদ্ধ ছাড়া অস্ত্র ব্যবসাও হয় না। তাই প্রথমে শত্রু বানাও, এরপর যুদ্ধ বাঁধাও। আর তারপর অস্ত্র ব্যবসার খেলা শুরু।
বিশদ

05th  May, 2022
একনজরে
দেশে জিডিপির হার চলতি অর্থবর্ষে ৭.৪ থেকে ৮.২ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে, মনে করছে সর্বভারতীয় বণিকসভা সিআইআই। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন বা জিডিপি ঠিক কত হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে জ্বালানির দামের উপর। ...

রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গত ১১ বছরে বহু প্রকল্প রূপায়ণ করেছে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় সরকারও ২০২১ থেকে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পগুলির ...

কেবিন বাড়ল উডবার্ন ওয়ার্ডের। সিঙ্গল, ডবল কেবিন মিলিয়ে আগে ছিল ৩০টি শয্যা। ঝাঁ চকচকে আরও ৬টি কেবিন চালু হওয়ায় কেবিন সংখ্যা বেড়ে হল ৩৬। নতুন চালু হওয়া ৬টি কেবিনের প্রতিটির দৈনিক বেড ভাড়া ৪ হাজার টাকা। ...

বেঙ্গল ওলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ও মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট)-এর মোহনপুর ক্যাম্পাসের সহযোগিতায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষ হল সোমবার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
১৫৪০: শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন
১৮৯৭ : বিশিষ্ট লেখিকা সাহানা দেবীর জন্ম
১৯১৩: বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু
১৯২০: বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান KLM চলাচল শুরু করে
১৯৪০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দখল করে জার্মানি
১৯৫১: গজল গায়ক পঙ্কজ উধাসের জন্ম 
১৯৬৫: বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্তের মৃত্যু
১৯৮৫: বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচার জন্মদিন
১৯৮৮: টলিউড অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৯২: টলিউড অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জীর জন্ম
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৬.৫৪ টাকা ৭৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ৯৩.০০ টাকা ৯৬.২৭ টাকা
ইউরো ৭৮.৯৯ টাকা ৮১.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  May, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২। প্রতিপদ ৩/৩৬ প্রাতঃ ৬/১৬ পরে দ্বিতীয়া ৫৫/৩ রাত্রি ৩/১। অনুরাধা নক্ষত্র ১৪/২৭ দিবা ১০/৪৬। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৩৭, সূর্যাস্ত ৬/৬/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৪/২১ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৩৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২১ গতে ৫/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। 
২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২। প্রতিপদ দিবা ৭/৫১। অনুরাধা নক্ষত্র দিবা ১২/৩৫। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪২ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৫/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে।  
১৫  শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৩ রানে জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

11:33:20 PM

আইপিএল: মুম্বই ১০২/২ (১২ ওভার)

10:46:01 PM

আইপিএল: মুম্বই ৫৬/০ (৭ ওভার)

10:15:42 PM

আইপিএল: মুম্বইকে ১৯৪ রানের টার্গেট দিল হায়দরাবাদ

09:28:04 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদ ১৪৮/২ (১৫ ওভার)

08:51:53 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯৭/২ (১০ ওভার)

08:27:28 PM