পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
নতুন সেলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিপিআর সেল’। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রশিল্প, কৃষিবিপণন প্রভৃতি অনেক দপ্তরের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নেই। বিভিন্ন প্রকল্পের ডিপিআর তৈরি করতে এই দপ্তরগুলি কনসালট্যান্ট নিয়োগ করে। তাদের সেই প্রয়োজন এবার ফুরল। নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগহীন দপ্তরগুলির ডিপিআর তৈরির কাজ পূর্তদপ্তরের এই স্পেশাল সেলই করে দেবে। নবান্নের আধিকারিকদের মতে, এতে প্রকল্প রূপায়ণে দু’টি সুবিধা হবে। প্রথমত, একেবারে সরকারি পরিকাঠামোর মাধ্যমে ডিপিআর তৈরি হবে। ফলে, তার জন্য এড়ানো যাবে আলাদা খরচ, কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে রাজ্য কোষাগারের। দ্বিতীয়ত, এখন সমন্বয় পোর্টালের মাধ্যমে সমস্ত দপ্তরের কাজের অগ্রগতি সহজেই জানা যায়। ফলে নয়া ব্যবস্থায় ডিপিআর তৈরির কাজও ত্বরান্বিত হবে।
ডিপিআর তৈরির পূর্বে প্রয়োজনীয় সমীক্ষার কাজও করবে এই সেল। পাশাপাশি, প্রকল্পের নকশা ও তার রূপায়ণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন এই সেলের আধিকারিকরা। প্রযুক্তিগত ছাড়পত্র দেওয়ার দায়িত্বও এই আধিকারিকদের উপর থাকবে। এক আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হল, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া। সেই কারণেই এই উদ্যোগ।’
এই সেল গড়া নিয়ে ৫ এপ্রিল মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেই অনুসারে কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সম্প্রতি পূর্তদপ্তর এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পূর্ত ডিরেক্টরেটের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হেডকোয়ার্টার্সকে এই সেলের মুখ্য প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেলে আরও থাকবেন একজন সুপারিন্টেন্ডিং অফিসার, দু’জন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, চারজন ড্রাফ্টসম্যান ও একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ইলেক্ট্রিক্যাল), জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ইলেক্ট্রিক্যাল), এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (ইলেক্ট্রিক্যাল), অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিটেক্ট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (মেকানিক্যাল)। এই স্পেশাল সেলের অফিস হবে ভবানী ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের ছ’তলায়। নতুন সেলের কাজ দ্রুত শুরু করতেই উদ্যোগী হয়েছে সরকার।