পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
ডিএসপি অতনু ঘোষাল বলেন, ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই বস্তুটি বিক্রি করার কথা ছিল। বস্তুটি তেজস্ক্রিয় বলে মনে হচ্ছে। তবে সেটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। কোথা থেকে আনা হয়েছিল, তা তাদের জেরা করে জানা হবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তেজস্ক্রিয় ধাতু বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। এধরনের বস্তুর সঙ্গে ডিটোনেটর যুক্ত করে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। পাথর খাদান এলাকায় এধরনের তেজস্ক্রিয় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে, তা বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আনা হয়েছিল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল, তা পুলিস খতিয়ে দেখছে। এটি কোন ধরনের সেটিও তদন্তকারীরা জানতে পারেননি।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরাজ্যে বিভিন্ন ধরনের ধাতু পাচারে প্রতারক চক্র যুক্ত রয়েছে। তারা নকল ধাতুকে আসল বলে চালিয়ে মোটা টাকায় বিক্রির চেষ্টা করে। বীরভূম, বর্ধমানে এধরনের একাধিক গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তারা পুরনো মুদ্রা বিক্রির নাম করেও টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েকদিন আগে বারাকপুরের এক দম্পতিকে পুরনো ধাতু বিক্রির নামে বর্ধমানের বনপাশে ডেকে আনা হয়েছিল। তাঁদের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে তারা চম্পট দেয়। পরে অবশ্য বর্ধমান থানার দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এই চক্রটি কোনও প্রতারক গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, এধরনের তেজস্ক্রিয় ধাতুর পরীক্ষা জেলায় হয় না। তা কলকাতায় পাঠাতে হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তেজস্ক্রিয় বস্তু সবসময় বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহার হয় না। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও কাজে লাগে। ধৃতরা ক্যারিয়ারের কাজ করত। তারাও এনিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। বিভিন্ন রকম তথ্য দিচ্ছে। সেগুলি যথেষ্টই বিভ্রান্তমূলক।
এই ধরনের ধাতব পদার্থ প্রায় একই রকমের দেখতে হলেও প্রকৃতি এবং চরিত্র ভিন্ন হয়ে থাকে। এধরনের ধাতব বস্তু আগেও এই জেলায় উদ্ধার হয়েছে। সেগুলির কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজেও ব্যবহার হতো। কয়েকটি নকল ধাতুও ছিল। বিভিন্ন ধাতব বস্তু মূলত বিহার থেকে আসে। সেগুলি বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে নকল ধাতু প্রতারকরা নিজেরাই তৈরি করে। বিভিন্ন ধরনের উপাদান মিশিয়ে সেগুলি তৈরি হয়। তাই পরীক্ষার আগে উদ্ধার হওয়া বস্তুটি কী, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। বর্ধমান থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।