পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
গত ২মে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় ভরসন্ধ্যায় মালদহের কলেজ ছাত্রী সুতপাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে তাঁরই প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত। মালদহ থেকে এসে বহরমপুর শহরে মেস ভাড়া নিয়ে থেকে সুতপার গতিবিধির উপর দিনের পর দিন নজরদারি চালিয়েছে সে। তারপর সুযোগ বুঝে ওইদিন সন্ধ্যায় সুতপার মেসের সামনেই খুন করা হয়। ঘটনার পর মালদহে পালানোর পথে সুশান্তকে পাকড়াও করে পুলিস। সুতপার গতিবিধির উপর সুশান্ত নজরদারি চালাত। সেব্যাপারে সুতপার এক বান্ধবী তাকে সাহায্য করত বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার গোরাবাজারের মেস থেকে মেয়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে যান সুতপার বাবা। তার আগে বহরমপুর থানায় এসে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। বহরমপুর থানায় দাঁড়িয়ে স্বাধীনবাবু বলেন, মেয়ের এক বান্ধবী সুশান্তকে ওর ব্যাপারে সমস্ত খবর দিত। মেয়ে বারবার তাকে কোনওকিছু বলতে বারণ করলেও সে শোননি। ফোনে তাদের মধ্যে যে কথোপকথন হতো, তার কিছু অডিও মেসেজ আমি পেয়েছি। সেগুলো আমরা আইও সাহেবকে পাঠিয়েছি। মেয়েটি বহরমপুরের বাসিন্দা বলে মেয়ে আগে জানিয়েছিল।
সুশান্ত মিডিয়ায় সামনে মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। এদিন তা অস্বীকার করেন সুতপার বাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ঘনিষ্ঠ ছবিগুলি বছর দেড়েক আগে তোলা হয়েছিল বলে জানান তিনি। এদিন স্বাধীনবাবু বহরমপুর পুরসভায় এসে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন।
সুশান্ত কখনও মালদহের ইংরেজবাজারের বাড়ি থেকে, কখনও পাটনায় বসে সুতপার উপর লাগাতার নজরদারি চালাত। খুনের আগের দিন পর্যন্ত এভাবেই সুতপাকে ‘ট্র্যাক’ করেছে সে। সুতপা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কার সঙ্গে মিশছে কার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সব খবর পেতে তাঁরই এক বান্ধবীকে ‘সোর্স’ হিসেবে ব্যবহার করত বলে পুলিস আগেই জানতে পেরেছে। এমনকী সুশান্তও জেরায় জানিয়েছিল, সে সুতপার এক বান্ধবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। সে সুতপার ব্যাপারে অনেক কিছুই জানাত। সুশান্তর এই দাবি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী অফিসাররা।
সুতপার সেই বান্ধবীর ভূমিকা, সুশান্তর সঙ্গে সেই বান্ধবীর চ্যাট পুলিস আগেই খতিয়ে দেখেছে। পুলিস জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন ধৃত সুশান্তকে বহরমপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।