Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির শাসনে শিক্ষা
ক্রমেই ধনীর পণ্য!
হিমাংশু সিংহ

এক ভারতের মধ্যেই দু’টো সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর দেশ বাস করে। একটা গরিবের, আর দ্বিতীয়টা উচ্ছল ধনীর। কিন্তু প্রতিবারই এই মে-জুন মাসে বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার ফল বেরলে আমরা উদগ্রীব হয়ে থাকতাম গরিব ঘর থেকে ঠিকরে বেরনো মেধাবী মণিমুক্তো খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায়। কাগজের পাতায় তাঁদের অসামান্য সাফল্যের কাহিনি পড়ে সংবাদপত্র অফিসে সারাদিন দেশবিদেশ থেকে ফোন আসত। প্রশ্ন একটাই, ‘একটু যোগাযোগের নম্বরটা পাওয়া যাবে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।’ ডিজিটাল এডিশনের দৌলতে সুদূর ইউরোপ, আমেরিকাও আজ আর খুব দূরের নয়। সেখান থেকেও ফোন আসত। হয়তো নিজের উত্তরণের ইতিহাস মনে রেখেই হাজার হাজার মাইল দূর থেকে কোনও বঙ্গ সন্তানের প্রাণ হঠাৎ কেঁদে উঠত পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। নিজের লড়াইকে স্মরণ করেই হাত বাড়িয়ে দিতেন সাহায্যের। এক আলো থেকে জ্বলে উঠত আর একটা প্রদীপ। গ্রাম বাংলার মেঠো ঘরে ছড়িয়ে যেত যুদ্ধজয়ের আনন্দ। আমরাও অতি উৎসাহে বেশ কয়েক সপ্তাহ সেই সব সাফল্যের কাহিনি ছাপতাম। রাজনীতির দৈনন্দিন কূটকচালির বাইরে একটু নতুন হাওয়া বইত যেন। অজ পাড়াগাঁয়ের দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের থেকে বেরিয়ে আসা সেইসব প্রতিভার আলোয় উদ্ভাসিত হতো চারদিক। কারুর মা দিনে আট ঘণ্টা রুটি বানিয়ে তাঁর ছেলেকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখছেন। আবার কারও বাবা সামান্য অটোচালক। রাত জেগে পরিশ্রম করে ছেলেকে পৌঁছে দিয়েছেন আইএএস পরীক্ষার সাফল্যের দরজায়। আবার কোথাও ছেলেই ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে সবকটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে জয়েন্ট কিংবা আইআইটির। এইসব ঘুরে দাঁড়ানোর অদ্ভুত উপাখ্যানে একটা আশার ঝিলিক খেলে যেত সমাজে। মন বলত, আছে আছে, এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি।
গত দু’বছর সেই বাৎসরিক প্রতিভার অনুসন্ধানে অনেকটাই ছেদ পড়ে গিয়েছে। মহামারীর আঘাতে অফলাইন পরীক্ষার দফারফা হতেই  দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ঘর থেকে উঠে আসা সেইসব আশ্চর্য লড়াইয়ের কাহিনিতেও কেমন যেন ভাটার টান। অনলাইন শিক্ষার বহুল প্রসারে যেমন স্কুলশিক্ষার ভূমিকা কমছে, তেমনি প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিভা অন্বেষণের কাজও ধাক্কা খাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের অজুহাতে অনলাইন শিক্ষার বাড়বাড়ন্ত ক্রমেই তাকে গ্রামের গরিব পরিবারের সন্তানের থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’বছরে সারা দেশে ৫১ হাজার সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাটা নিঃসন্দেহে বিরাট। বলাবাহুল্য, এর অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামের। আর এই স্কুল বন্ধের দৌড়েও ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি এগিয়ে। শুধু যোগীরাজ্যেই বন্ধ হয়েছে ২৬ হাজার স্কুল। আর মধ্যপ্রদেশে বন্ধ হয়েছে ২২ হাজার। সরকারি স্কুল বন্ধ করে শিক্ষার ঢালাও বেসরকারিকরণ ও অনলাইন আ্যাপ নির্ভর পড়াশোনার প্রবর্তন কি গ্রামের গরিব ঘরের সন্তানকে প্রথমেই এক হাজার মাইল পিছনে ফেলে দিচ্ছে না? প্রান্তিক যে মানুষটার ঘরে সামান্য উনুন জ্বালানোর লড়াই চলে সকাল থেকে সেই ঘরে কোনও রকমে একটা খাতা আর পেনের ব্যবস্থা হলেও অনলাইন শিক্ষার দামি হরেক কিসিমের সরঞ্জাম কেনা কি সোজা ব্যাপার। আগে তো ভাতের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রামের একচিলতে বাড়িতে ছেলেমেয়ের জন্য আলাদা স্টাডি রুম ক’টা পরিবারে আছে। শহরেও খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেখানে টেবিল চেয়ার, ল্যাপটপ, ওয়েবক্যাম, নিয়মিত ভালো ইন্টারনেট সংযোগ তো আকাশের চাঁদ ধরে আনার মতো ব্যাপার। ছোট একটা নোটবুক আর পেন-পেন্সিলের দিন যে শেষ তা তো এতদিনে কারও জানতে বাকি নেই। খাতা আর পেনের বিক্রিও কমছে হু হু করে। এখন জীবনটাই চলে শুধু এক ক্লিকে। পরীক্ষাও তথৈবচ। তাহলে প্রথমেই সমাজের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বাপু, উচ্চশিক্ষা তোমার জন্য নয়। মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতিও সেই বিভাজনেরই অস্ত্র হিসেবেই কাজ করছে। তার উপর দোসর মহামারীর ধাক্কা। সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে দূরত্ব তৈরির মতোই আজ শিক্ষাও তাই বিভেদের গ্রাসে। তাহলে বারবার এই সরকারের কেষ্টবিষ্টুরা যে ‘ইনক্লুসিভ গ্রোথ’-এর কথা বলেন তা কি শুধু কথার কথা! গরিবকে দূরে সরিয়ে ভারতের সার্বিক উন্নয়ন যে এক অবাস্তব কল্পনা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমরা সবাই জানি, গত দু’বছরে অন্তত ১২ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। হয়তো সংখ্যাটা বাস্তবে আরও অনেক বেশি। সব হিসেব সরকারের কাছে নথিভুক্ত হয় না। হলেও প্রকাশ করা হয় না। পাল্লা দিয়ে ব্যবসাও হারিয়েছেন বহু মানুষ। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। আর সংসারে রোজগার কমলে শিক্ষার উপরই প্রথম কোপটা পড়ে। আমাদের মতো দেশে এটাই দস্তুর। ছোট বয়সের ছেলেমেয়েকেও পড়তে না পাঠিয়ে কাজে লাগিয়ে দেওয়ার ঝোঁক বেড়েছে সেই তাগিদ থেকেই। বাড়ির সামনে আলু পটলের দোকান সাজিয়ে বসলে তো কিছু আসবে। এই চিন্তা থেকেই পড়াশোনা ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে গরিব ঘরে। দীর্ঘদিন একটানা স্কুল কলেজ বন্ধ সেই প্রবণতায় দ্বিগুণ শক্তিশালী অনুঘটকের কাজ করেছে। এখন মহামারীর আঘাত কিছুটা কমলেও দেশের কয়েক কোটি ছেলেমেয়ে স্কুলের পড়াশোনার বাইরে চলে গিয়েছে দারিদ্র্যের তাড়নায়। কোভিডে কত পড়ুয়া অভিভাবক হারিয়েছে, তার হিসেব কে রাখে। তাদের এখন স্কুলে পাঠাবে কে? এই ব্যাপক ড্রপ আউট সমাজের পক্ষে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। অথচ আর পাঁচটা ব্যর্থতা নিয়ে নির্লিপ্ত থাকার মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখে কুলুপ। সরকার বাহাদুর এখন পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের হিসেব নিকেশে ব্যস্ত। গরিবের ঘরে পড়াশোনার আলো জ্বেলে তো আর চব্বিশে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হবে না। তাই সেই দিকে নজর নেই কারও। 
কিন্তু এই সরকারি উদাসীনতার সুযোগেই শিক্ষা এক বৃহৎ ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হচ্ছে। সামাজিক দায়বদ্ধতাকে শিখণ্ডি করে মুনাফার দৌড়ে আজ শামিল বৃহৎ কর্পোরেট জগৎ। তাকে ঘিরে ক্রমাগত দুষ্টচক্র গড়ে ওঠা এই কুনাট্যেরই অনিবার্য পরিণতি। স্কুলশিক্ষার উপর নির্ভরতা যত কমছে, ততই এই ব্যাপারটা প্রকট হচ্ছে। ব্যাপারটা এমন, যার টাকা আছে তার যেমন সাতমহলা বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি আর পাঁচটা বিনোদন, আরাম কেনার সামর্থ্য আছে, তেমনি শিক্ষাকেও সে অনায়াসে রঙিন ব্যাগে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ছেলেমেয়ের জন্য। শিক্ষা সেখানে নিতান্তই আর পাঁচটা পণ্যের মতো খোলা বাজারে বিকচ্ছে। প্রতিভার দাম দেওয়ার কেউ নেই। 
কোভিডের পর স্কুল খুলে প্রথমে দেখা যায়, কিছু ছাত্রছাত্রী অক্ষর জ্ঞান পর্যন্ত হারিয়েছে। এবিসিডি পর্যন্ত চিনতে পারছে না অনেকে। সিলেবাসের সঙ্গে যোগ নেই এক বিরাট অংশের। স্মার্ট ফোনই যে গ্রামে পৌঁছয়নি, সেখানে স্কুল বন্ধ থাকার অর্থ একটা প্রজন্মকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা। অনলাইন ক্লাসের গালভরা প্রচার সেখানে প্রকাণ্ড ঠাট্টা মাত্র। আমরা নিরাপদে থাকা মানুষ নীরব দর্শক মাত্র। এর মিলিত ফল, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষীর উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল।
আসলে দূর ও অনলাইন শিক্ষার জন্য আমাদের দেশ কতটা প্রস্তুত সেটা প্রথম দেখতে হবে। নাহলে যাঁদের সাধ্য আছে, মোটা টাকা দিয়ে প্রাইভেট টিউটর রেখে ক্যালকুলাস থেকে কম্পিউটার শিক্ষার সব বাড়িতে বসে আয়ত্ত করবে। আর প্রান্তিক মানুষ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। রাজনৈতিক বিভাজনের মতোই আমরা শিক্ষাক্ষেত্রেও নতুন করে ধনী দরিদ্র পার্থক্য আরও বাড়ানোর পথে। সৌজন্যে ভারতের সবচেয়ে সাহসী নেতা নরেন্দ্র মোদি! মহাধুমধামে তাঁর সরকারের আট বছর পূর্তির ঢাক পেটানো শুরু হয়ে গিয়েছে। সাফল্যের দুশো ফিরিস্তির সেই উচ্চকিত উদযাপনে শিক্ষার এই সঙ্কট বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। 
15th  May, 2022
কামরাজ প্ল্যানেই বাজিমাতের লক্ষ্যে মোদি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কিছুতেই বিরোধী শক্তির সামনের সারিতে আসতে না পারেন—এটাই লক্ষ্য বিজেপির। বরং এলেবেলের স্তরে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস যত খুশি গুরুত্ব পাক, ক্ষতি নেই। কিছুতেই যেন জোটের জমি শক্ত না হয়। তাহলেই মানুষ বিকল্প না খুঁজে মোদিজিতে ফের আস্থা রাখবেন। চব্বিশেও পদ্ম ফুটবে সংসদে। বিশদ

ভালো, খারাপ ও সন্দেহজনক
পি চিদম্বরম

যদি মহিলাদের একটি বড় অংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন এবং শিশুদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ কম ওজনের কিংবা রক্তাল্পতার শিকার হয়, পাশাপাশি অনেক শিশু স্টান্টেড অথবা ওয়েস্টেড হয়, তবে তার কারণ পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। আমার মনে হয় যে খাদ্যের অভাব হল, দারিদ্র্যের একটি নির্ধারক সূচক। একজন খুদে ভগবানের সন্তান হিসেবে ওই গরিব মানুষগুলিকে এই সরকার ভুলিয়ে দিতে চাইছে। বিশদ

16th  May, 2022
দিশা দেখাতে এসে ডুবিয়ে গেলেন ‘চাণক্য’
তন্ময় মল্লিক

অমিত শাহের বঙ্গ সফরের উদ্দেশ্য ছিল দলের কোন্দল মেটানো এবং হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাওয়া বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উদ্ধারের পথ বাতলানো।
বিশদ

14th  May, 2022
সমস্যাগুলি রাষ্ট্র স্বীকারই করছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র যখন তার মস্তিষ্কহীন অনুগত সেনাদের দিয়ে আমাদের মধ্যে নানারকম বিভাজনের বীজ বপন করতে থাকে, তখন ভয় হয় যে, আসলে বোধহয় কিছু গোপন করতে চায় রাষ্ট্র। তাই এভাবে আমাদের চিন্তাকে ডাইভার্ট করে দিতে চায়। আমাদের বুদ্ধিহীনতায় রাষ্ট্রের সুবিধা ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

13th  May, 2022
হলুদ ধাতুর আগুন দর
মৃণালকান্তি দাস

হলিউডের সিনেমা ‘ম্যাকানাস গোল্ড’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯-এ। লুকিয়ে রাখা সোনার সন্ধান রয়েছে একটা ম্যাপে। সেই ম্যাপ একবার দেখেই পুড়িয়ে ফেলেছিলেন গ্রেগরি পেক।
বিশদ

12th  May, 2022
লড়াই ও জনকল্যাণ মিলিয়েই মমতা মডেল
হারাধন চৌধুরী

 

বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ হতাশ পার্টিকর্মীদের লড়াইয়ের ‘মমতা মডেল’ ফলো করার নিদান দিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের জানা উচিত, শুকনো কথায় চিঁড়ে ভিজবে না। বাংলার মানুষের মন জয় করতে হলে বাংলার জন্য একে একে অনেক কিছু করতে হবে।
বিশদ

11th  May, 2022
গেরুয়া ভারতে মিডিয়ার
স্বাধীনতা! অলীক নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কৌতূহলী চোখগুলো তাকিয়ে রয়েছে তাঁর দিকে। কানাঘুষো চলছে, ‘ম্যাডামকে প্লেনে উঠতে দেয়নি!’ তারপরই প্রশ্ন, ‘কেন?’... ‘কে এই মেয়েটা?’... ‘কী করেছে?’ ...‘টেররিস্ট নাকি?’
বিশদ

10th  May, 2022
নাগরিক বনাম রাষ্ট্র বনাম স্বাধীনতা
পি চিদম্বরম

ভারতীয় রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানার একটি ইচ্ছাকৃত এবং দৃঢ় প্রয়াস জারি রয়েছে। চুপিসারে জনগণকে প্রান্তে এনে ছিন্নভিন্ন করে তাদের স্বাধীনতা ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২২-এ, ভারত ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫০-এ নেমে এসেছে। সজাগ নাগরিকেরা সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়ছেন, যে প্রতিষ্ঠান নিজেকে সতর্ক প্রহরী হিসেবেই বর্ণনা করেছে। স্বাধীনতা একজন ত্রাণকর্তার প্রতীক্ষায়।
বিশদ

09th  May, 2022
মমতার বাংলাকে নিয়ে অমিত
শাহদের হতাশা স্বাভাবিক
হিমাংশু সিংহ

 

বোঝা গেল, বাংলা নিয়ে অমিত শাহদের খোয়াব কেটে গিয়েছে। দু’দিনের ‘ফ্লপ’ বঙ্গ সফরই তার অকাট্য প্রমাণ। দীর্ঘ একবছর পরে এসেও দু’শো আসন জেতার কথা তাই মুখেই আনলেন না নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি।
বিশদ

08th  May, 2022
পরাজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিজেপির ভরসা সেই কুৎসা
তন্ময় মল্লিক

এলেন, ঘুরলেন এবং প্রাণ নিয়ে নিরাপদে দিল্লি ফিরে গেলেন। অমিত শাহের বঙ্গ সফরের ক্যাচলাইন এটাই। ‘বাংলায় গেলে খুন হয়ে যেতে পারেন’, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই কটাক্ষে বিজেপি নেতারা টেবিল চাপড়ে মজা নিলেও বাঙালির হৃদয় হয়েছিল ক্ষতবিক্ষত।
বিশদ

07th  May, 2022
জাতীয় রাজনীতিতে বাঙালির প্রতি অবহেলা কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

বেশ কিছু বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে আর বাঙালি নেতা নেই। বাঙালি রাজনৈতিক নেতানেত্রী কোনও জাতীয় স্তরের দলে এখন আর গুরুত্ব পাচ্ছেন না। 
তবে, জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র বাঙালি প্রতিনিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশের এক ও একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব জাতীয় স্তরে এখন অনেক বেশি। বিশদ

06th  May, 2022
আছে যুদ্ধ, আছে মৃত্যু, আছে বাণিজ্য
মৃণালকান্তি দাস

নো আর্মস বিজনেস উইদাউট এনিমিস ইজ পসিবল! শত্রু ছাড়া যুদ্ধ হয় না। যুদ্ধ ছাড়া অস্ত্র ব্যবসাও হয় না। তাই প্রথমে শত্রু বানাও, এরপর যুদ্ধ বাঁধাও। আর তারপর অস্ত্র ব্যবসার খেলা শুরু।
বিশদ

05th  May, 2022
একনজরে
রবিবার রাতে কালনা মহকুমা হাসপাতালের এসএনসিইউতে সাপের আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়ায়। চিকৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ছুটে যান। ...

কেবিন বাড়ল উডবার্ন ওয়ার্ডের। সিঙ্গল, ডবল কেবিন মিলিয়ে আগে ছিল ৩০টি শয্যা। ঝাঁ চকচকে আরও ৬টি কেবিন চালু হওয়ায় কেবিন সংখ্যা বেড়ে হল ৩৬। নতুন চালু হওয়া ৬টি কেবিনের প্রতিটির দৈনিক বেড ভাড়া ৪ হাজার টাকা। ...

দেশে জিডিপির হার চলতি অর্থবর্ষে ৭.৪ থেকে ৮.২ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে, মনে করছে সর্বভারতীয় বণিকসভা সিআইআই। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন বা জিডিপি ঠিক কত হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে জ্বালানির দামের উপর। ...

রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গত ১১ বছরে বহু প্রকল্প রূপায়ণ করেছে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় সরকারও ২০২১ থেকে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পগুলির ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
১৫৪০: শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন
১৮৯৭ : বিশিষ্ট লেখিকা সাহানা দেবীর জন্ম
১৯১৩: বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু
১৯২০: বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান KLM চলাচল শুরু করে
১৯৪০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দখল করে জার্মানি
১৯৫১: গজল গায়ক পঙ্কজ উধাসের জন্ম 
১৯৬৫: বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্তের মৃত্যু
১৯৮৫: বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচার জন্মদিন
১৯৮৮: টলিউড অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৯২: টলিউড অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জীর জন্ম
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৬.৫৪ টাকা ৭৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ৯৩.০০ টাকা ৯৬.২৭ টাকা
ইউরো ৭৮.৯৯ টাকা ৮১.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  May, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২। প্রতিপদ ৩/৩৬ প্রাতঃ ৬/১৬ পরে দ্বিতীয়া ৫৫/৩ রাত্রি ৩/১। অনুরাধা নক্ষত্র ১৪/২৭ দিবা ১০/৪৬। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৩৭, সূর্যাস্ত ৬/৬/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৪/২১ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৩৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২১ গতে ৫/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। 
২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২। প্রতিপদ দিবা ৭/৫১। অনুরাধা নক্ষত্র দিবা ১২/৩৫। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪২ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৫/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে।  
১৫  শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৩ রানে জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

11:33:20 PM

আইপিএল: মুম্বই ১০২/২ (১২ ওভার)

10:46:01 PM

আইপিএল: মুম্বই ৫৬/০ (৭ ওভার)

10:15:42 PM

আইপিএল: মুম্বইকে ১৯৪ রানের টার্গেট দিল হায়দরাবাদ

09:28:04 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদ ১৪৮/২ (১৫ ওভার)

08:51:53 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯৭/২ (১০ ওভার)

08:27:28 PM