কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
খড়দহে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতা কাজল সিনহাকে প্রার্থী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় খড়দহ বিধানসভার নির্বাচন ছিল। কিন্তু, করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার আগের দিনই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত ২৫ এপ্রিল সকালে ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই কেন্দ্রে কাজল সিনহা বিজেপি প্রার্থীকে ২৮ হাজার ১৪০টি ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার পরই শোভনদেবকে এই কেন্দ্রের পরিকল্পনা করেন দলনেত্রী।
তবে, প্রার্থী ঘোষণা না হলেও গত জুন মাস থেকেই শোভনদেব নানা সামাজিক কাজকর্মের মাধ্যমে জনসংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি প্রায়ই নানা কর্মসূচিতে আসতেন। দলের কর্মসূচিতেও তাঁকে খড়দহে দেখা গিয়েছে। দলীয় মিটিংও করছিলেন। এদিন খড়দহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস পালের এলাকায় ওই হোর্ডিং ও ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। দলের কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শোভনদেবের নির্বাচনী কাজকর্ম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ও ঠিক করা হয়েছে। প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। শুধু নির্বাচন ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন কর্মীরা। কিছুদিন আগেই খড়দহে একটি দলীয় মিটিং হয়েছিল। সেখানে সকলকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেসের বারাকপুর দমদম সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ বলেন, খড়দহের রহড়া মোড়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয় করা হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর ওই কার্যালয় উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা প্রচার শুরু করব। প্রার্থীর প্রচারের রূপরেখা তৈরি হবে। তবে, এদিন থেকেই স্থানীয়ভাবে হোর্ডিং, ফ্লেক্স লাগানো হচ্ছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা সকলেই উচ্ছ্বসিত। খড়দহের মানুষ কাজল সিনহাকে জিতিয়েছিলেন। তাঁদের আশীর্বাদ অটুট রয়েছে।
শোভনদেবের সমর্থনে প্রচার খড়দহে। -নিজস্ব চিত্র