কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবের কঠোর সমালোচনা করেছে বেঞ্চ। ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট না হলে ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ দেখা দেবে বলে তিনি কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন। বেঞ্চের অভিমত, তিনি জনগনের সেবক বা পাবলিক সার্ভেন্ট। আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করারই তাঁর কাজ। ক্ষমতায় যেই থাকুক। কোনও ব্যক্তি যাতে ক্ষমতায় আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করা তাঁর কাজ নয়। তেমনি সেই ব্যক্তি ক্ষমতায় না আসলে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে অভিমত দেওয়ার এক্তিয়ারও তাঁর নেই।
মুখ্যসচিব এই কেন্দ্রে ভোট করানোর জন্য কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে তথ্য কমিশনকে দিয়েছিলেন, তা বাস্তব অবস্থার বিপরীত। এই অভিমত দিয়ে বেঞ্চ বলেছে, সংক্রমণ পরিস্থিতি ভাল নয় বলেই রাজ্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়িয়েছে। অথচ, তিনি কমিশনকে জানান, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গেও মুখ্যসচিবের বক্তব্য আদালতে তিরস্কৃত হয়েছে। বেঞ্চ বলেছে, মুখ্যসচিব পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে নিজেকে অনেকটাই এক রাজনৈতিক দলের সার্ভেন্ট হিসেবে তুলে ধরেছেন। কোনও একজন জিতলে বা না জিতলে কীভাবে সরকারের সামনে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে, তার ব্যাখ্যা তিনি দেননি। কে ওই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তিনি জানলেন কীভাবে? তিনি তো দলীয় মুখপাত্র বা রিটার্নিং অফিসারও নন। অথচ, তাঁরই সুপারিশ অনুসরণে সেখানে ভোট হতে চলেছে।