কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
এই মেলায় তাঁতের শাড়ি বা অন্যান্য বস্ত্র নেই বললেই চলে। যত সম্ভার, তার বেশিরভাগই সিল্ক বা তসর। বহরে কিছুটা ছোট এই মেলা। কিন্তু তাতে জৌলুসের কমতি নেই। জেলা থেকে পসরা নিয়ে এসেছেন দোকানিরা। বাংলার শিল্পীদের হাতের কাজের যে এত বৈচিত্র্য থাকতে পারে, তা এখানে না এলে বোঝা যায় না। তবে অন্যান্যবারের চেয়ে বিক্রিবাটা তুলনামূলক কম বলেই জানালেন বীরভূম থেকে আসা শেখ সফিউল। বললেন, কেনাকাটা একেবারে হচ্ছে না, তা বলব না। কিন্তু যতটা আশা করেছিলাম ততটা নেই। পাশ থেকে আরও এক দোকানি বললেন, যাঁরা আসছেন, তাঁরা কিছু না কিছু হয়তো কিনছেন। কিন্তু ক্রেতাদের আনাগোনা কম। পণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানালেন বীরভূম থেকে আসা প্রসূন নসিপুরি। বললেন, আমাদের দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই। যে সিল্ক সুতোর কেজি চার মাস আগেও ২ হাজার ২০০ টাকা ছিল, তা এখন প্রায় তিন হাজারে পৌঁছেছে। তসরের দাম আরও একটু বেশি। কিন্তু কেজি প্রতি তসরের দরও বেড়েছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে নতুন শাড়ি বুনতে গেলে দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে।
বাঁকুড়া থেকে পসরা নিয়ে এসেছিলেন নমিতা দে। প্রতি বছর এই মেলায় তাঁর আসা হয় না। এবার এসেও কিছুটা হতাশ তিনি। কাঁথা কাজের শাড়ির পাশাপাশি তাঁর কাছে ছিল সিল্কের চাদর, সালোয়ার কামিজের কাট পিস। তবে এখনও হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি। বললেন, এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির জন্যই হয়তো ক্রেতাদের আনাগোনা কিছুটা কম। পুজো যত এগবে, ততই কেনাকাটার বহর বাড়বে। রোদ উঠলে ক্রেতারা আসবেন বলেই আশায় আছি আমরা।
মেলায় যাঁরা শাড়ি কিনতে আসবেন, তাঁরা বাড়তি কিছু পাবেন। কারণ এখানে মিলছে পাঞ্জাবি, টি শার্ট থেকে শুরু করে গয়নাগাটিও। ফলে পুজো বাজারের অনেকটাই জোগান দেবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই মেলা।