কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে হাওড়া শহরের সার্ভে ম্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। খরচ হবে চার কোটি টাকা। অর্থদপ্তর থেকে তার অনুমোদনও মিলেছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে জোরকদমে। শহরের কোথায় পাম্প বসানোর দরকার, কোন জায়গায় নিকাশি নালার প্রয়োজন, নিকাশি নালাগুলির গভীরতা কত হওয়া প্রয়োজন, তা নিয়েই কাজ করবে সংস্থাটি। এদিকে, সম্প্রতি শিবপুরের আইআইইএসটির সঙ্গেও শহরের জল-যন্ত্রণা নিয়ে আলোচনা করে পুরসভা। চলতি সপ্তাহেই হাওড়ার পথে নামছে দেশের প্রথম সারির এই শিক্ষাকেন্দ্রের বিশেষ দল। শহরের নিচু ওয়ার্ডগুলি থেকে জল বের করার পদ্ধতি কী হতে পারে, তার উত্তর খুজবে আইআইইএসটি। যদিও এতেই থেমে থাকতে রাজি নয় হাওড়া পুরসভা। হাওড়া শহরের জল জমার দুর্নাম ঘোচাতে এবার বদ্ধপরিকর তারা। তাই তৃতীয় বিকল্প হিসেবে নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থার সঙ্গেও সম্প্রতি কথাবার্তা শুরু করে হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক ভিডিও কনফারেন্স বৈঠক হয়েছে। শহরের কোথায় কোথায় কী কী ভাবে জল জমে, তার একাধিক ছবি ওই সংস্থার কাছে তুলে ধরেছে পুরসভা। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছর ডিসেম্বরেই নেদারল্যান্ডের এই সংস্থাটিও হাওড়া এসে পৌঁছবে।
কিন্তু তৃতীয় এই সংস্থার কাজ কী হবে? হাওড়া পুরসভার প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ জল বের করতে হয় নাজিরগঞ্জ এলাকা দিয়ে। কিন্তু গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেলেই সেই পথ অকেজো হয়ে যায়। উত্তর হাওড়ার বেলগাছিয়া ও কোনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জমা জল বের করার জন্য কী কী করণীয়, তা নিয়েই পরামর্শ দেবে নেদারল্যান্ডসের সংস্থাটি। তারপর সেই মতো কাজ করা হবে। এতে উত্তর হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশে জল জমার সমস্যার পাকাপাকি সমাধান হবে।
অন্যদিকে, টানা বর্ষায় জল জমার যন্ত্রণায় ভুগতে থাকা শহরবাসী কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান অবশ্যই চান। কিন্তু আপাতত যে সমস্যা হচ্ছে, তার সমাধানও তাঁদের কাছে খুব জরুরি।