কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ললিতাদেবী তাঁর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা পুলিস হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বাড়িতে থাকতেন। তিনি ওই হাসপাতালে জামা-কাপড় কাচার কাজ করতেন। পুলিস হাসপাতালটি নতুন করে তৈরি হওয়ার পর তাঁর ঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর তিনি পরিবার নিয়ে হরিদেবপুর এলাকায় চলে যান। সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকলেও ভবানীপুরের নন্দন রোডে প্রতিদিনই আসতেন। এই এলাকার একাধিক বহুতল থেকে জামাকাপড় নিয়ে যেতেন কেচে ইস্ত্রি করার জন্য। মঙ্গলবার সকালেও তিনি আসেন জামাকাপড় নিতে। যান নন্দন রোডের একটি বহুতলে। পরিচিত মুখ হওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁর পথ আটকাননি। জানা গিয়েছে, ললিতাদেবী ফ্ল্যাটের কোনও বাসিন্দার কাছে না গিয়ে সোজা উঠে যান পাঁচতলার ছাদে। এরপর সেখান থেকে ঝাঁপ দেন নীচে। শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। তাঁরা সকলেই ললিতাদেবীকে চিনতেন। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ভবানীপুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, ললিতাদেবী হরিদেবপুরে যাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেখানে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। তাঁর পরিবার পুলিসকে জানিয়েছে, এর আগে দু’বার তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফ্ল্যাটের লোকজন এবং স্থানীয়রা দেখে ফেলায় শেষ অবধি ঝাঁপ দিতে পারেননি। তাঁরাই তাঁকে ধরে ফেলেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, কয়েকদিন ধরেই তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।