শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশেই পুরুষ ভোটারের হার অনেকটাই বেশি। কিছু কেন্দ্রে তুল্যমূল্য পার্থক্য। কিন্তু এই সাতটিতে পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছে মহিলা ভোটারের সংখ্যা। এই জেলার মধ্যে যাদবপুর এবং বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি মহিলা ভোটার রয়েছেন। এই দু’টি কেন্দ্রে ১০০০ পুরুষ পিছু যথাক্রমে ১০৬৮ এবং ১০৫৪ মহিলা ভোটার আছেন। সোনারপুর উত্তর বা বারুইপুর পশ্চিমে পুরুষ এবং মহিলা ভোটারের ফারাক খুব বেশি নয়। এছাড়া সোনারপুর দক্ষিণ এবং বেহালা পূর্বে এই অনুপাত যথাক্রমে ১০২৯ এবং ১০৩৬। এবারের নির্বাচনে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে যে হারে এই কেন্দ্রগুলিতে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে তাঁরাই ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে যেতে পারেন।
আরও একটা লক্ষণীয় বিষয় হল, এই কেন্দ্রগুলিতে বিগত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে জেলার ভোটদানের গড়ের নীচে ছিল। অনেকেই মনে করছেন, বহু ক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যে ভোট দিতে যাওয়ার প্রতি একটা অনীহা কাজ করে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এবার যেহেতু মহিলা ভোটারের হার এই সাতটি কেন্দ্রে বেড়েছে এবং তাঁদের একটা বড় অংশ যদি ভোট দেন, তাহলে ভোটের ফলাফলে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এই সাতটি বাদেও মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রে পুরুষ-মহিলা ভোটারের সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। এখানে প্রতি ১০০০ পুরুষ পিছু ৯৯১ জন মহিলা আছেন।
তবে, পুরুষের অনুপাতে মহিলা ভোটারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম মেটিয়াবুরুজে। সেখানে ১০০০ জন পুরুষ পিছু ৮৮২ জন মহিলা আছেন। তবে এই সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হয়েছে বলেই দাবি জেলা প্রশাসনের। এরপরে আছে সাগর। সেখানে মহিলা ও পুরুষ ভোটারের মধ্যে ফারাকটা ১০ হাজারের বেশি। পাথরপ্রতিমাতেও দুই লিঙ্গের ভোটারের পার্থক্য ৮ হাজারের বেশি।