শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। এখানকার সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু বলেন, আমরা চিঠিতে লিখেছি, করোনার কারণে গোটা দেশেই পর্যটন শিল্প ১০ মাসের উপর মার খেয়েছে। বাংলাও তার বাইরে নয়। লক্ষ মানুষ হোলি ও দোল উৎসবে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও সংলগ্ন এলাকায় যাওয়ার প্ল্যান করে রেখেছেন। বুকিং হয়ে গিয়েছে বেশিরভাগ জায়গায়। অথচ ২৮ মার্চ উৎসবের আগের দিন ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। এই অবস্থায় সমগ্র বিষয়টিই একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশন যাতে বিষয়টি আর একবার বিবেচনা করে, আমরা সেই আর্জি জানিয়েছি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর সার্ভিস প্রভাইডার্স অব বেঙ্গলও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছে ভোটের তারিখ বদলের অনুরোধ জানিয়ে। এখানকার ভাইস প্রেসিডেন্ট সমর ঘোষ বলেন, জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে সারা বছরই যে পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে, তা নয়। শীতকালে মানুষ আসেন। সেই পর্ব শেষ হয় দোল উৎসবে। ফলে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে হোটেল বা হোমস্টেগুলি যেমন আশায় থাকে, তেমনই যাঁরা গাড়ির ব্যবসা করেন তাঁরাও মুখিয়ে থাকেন ব্যবসা ধরার জন্য। অঞ্চল ভিত্তিক ছোট ছোট মেলাও বসে এই সময়। এরপর কিন্তু প্রায় বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন। তা ফের চালু হতে দুর্গাপুজো গড়িয়ে যায় । এবার ভোটের কারণে সেই সুযোগও মিলবে না। শুধু জঙ্গলমহলের জেলাগুলিই নয়। পূর্ব মেদিনীপুরেও ২৭ মার্চ ভোট হওয়ায় মার খাবে দীঘা ও মন্দারমণি সহ সমুদ্র কেন্দ্রিক পর্যটন। সমরবাবুর কথায়, দোল ও হোলিকে কেন্দ্র করে বহু হোটেল নানা অনুষ্ঠান ও বিনোদনের আয়োজন করেছে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ হোটেল বুকিং শেষ হয়ে গিয়েছে। পর্যটক শেষ পর্যন্ত কতজন আসবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। নানা প্রশাসনিক নিয়মের কারণেই বাতিল হচ্ছে পূর্ব ঘোষিত নানা অনুষ্ঠান। যদি শেষ পর্যন্ত তারিখটা বদলানো যায়, তার জন্য আমরাও চিঠি দিচ্ছি নির্বাচন কমিশনকে।
চিঠি দিলে কি কাজ হবে? নীলাঞ্জনবাবুদের বক্তব্য, হয়তো হবে না। যে তারিখ নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, তার কোনও পরিবর্তন হয়তো হবে না। পর্যটন শিল্প বাধ্য হবে লোকসান মেনে নিতে। কিন্তু কোথাও তো আর্জি জানানো দরকার। উৎসবকে কেন্দ্র করে যেখানে এত মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে, সেখানে কেন তা গ্রাহ্য করা হবে না?