শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ফুটে উঠেছে বিভিন্ন দেওয়ালে। পদ্মপুকুর এলাকায় তাঁর নামে ফ্লেক্স টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোনারপুর কিংবা জয়নগরে দেওয়াল সাদা রং করে সেখানে ‘খেলা হবে’ লিখে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে শাসক দল। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। সোনারপুর বারুইপুরের মতো জায়গায় নিজেদের প্রতীক এঁকে দেওয়াল তৈরি করে রেখে দিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন বিধায়ক নিজেই পদ্ম ফুলের ছবি এঁকে দেওয়াল দখল করার কাজে হাত লাগিয়েছেন। গোসাবায় প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর নিজেই তাঁর দেওয়াল লিখন করে প্রচারে নেমে পড়েছেন। বিষ্ণুপুরের বিদায়ী বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলের কথায়, প্রার্থী ঘোষণার অপেক্ষায় আছি আমরা সবাই। তবে তার আগে সব দেওয়ালে চুনকাম করে প্রস্তুত পার্টির কর্মীরা। নাম প্রকাশ হতেই শুরু হয়ে যাবে দেওয়াল লিখন। তৃণমূলের এই দেওয়াল লিখনকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সুফল ঘাটু। তিনি বলেন, তৃণমূলের কোনও নীতি নেই। সেখানে সবাই রাজা, সবাই নেতা। তাই প্রার্থী নাম ঘোষণার আগেই দেওয়ালে তাঁদের নাম লেখা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির ঘোষিত সিদ্ধান্ত যে, যতক্ষণ না প্রার্থীর নাম বলা হচ্ছে, প্রতীক ছাড়া দেওয়ালে কিছু লেখা যাবে না। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি জয়ন্ত দাসের দাবি, কিছু কিছু জায়গায় তাঁরা দেওয়াল প্রস্তুত করে রেখেছেন। কিন্তু দেওয়াল লিখনের থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে ব্যানার-পোস্টারের উপর।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিগত লোকসভা ভোটে যেসব দেওয়ালে তৃণমূলের প্রার্থীর নাম ছিল, সেগুলি চুনকাম করে নতুন প্রার্থীর নাম লেখার উপযোগী করে তোলা হয়েছে। অথচ বামেদের যেসব দেওয়াল লিখন এতদিন ছিল, তাতে চুনকাম করার লক্ষণ এখনও পর্যন্ত সেভাবে চোখে পড়েনি। সেই কবে একটা ধর্মঘটের ডাক দিয়ে দেওয়াল লিখন হয়েছিল, সেটা এখনও রয়ে গিয়েছে। এদিকে ভাঙড়ে সবাইকে পিছনে ফেলে দেওয়াল লিখনে ‘প্রথম’ জমি রক্ষা কমিটি। তাদের মির্জা হাসানের নাম ইতিমধ্যেই দেওয়ালে জায়গা করে নিয়েছে। সোমবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে এসইউসিআই। কিন্তু তার আগেই জয়নগরে প্রার্থীর নাম লেখা হয়ে গিয়েছে দেওয়ালে।