শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সিবিআই এফআইআরে উল্লেখ করেছে, দুর্গাপুর, আসানসোল, রানিগঞ্জ সহ খনি এলাকার বিভিন্ন রেলওয়ে সাইডিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়াগন ভেঙে কয়লা চুরি হয়েছে। কীভাবে তা সেখানকার রেল কর্তা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরপিএফের নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। খোঁজ করতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, এর পিছনে একটি বড় চক্র কাজ করছে। অবৈধ খাদান থেকে কয়লা তোলার পাশাপাশি রেলের ওয়াগন ভেঙে কয়লা চুরির ক্ষেত্রেও অনুপ মাঝি ওরফে লালাই জড়িত। রেলের কর্মীদের একাংশের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তিনি তাঁদের মাসোহারা দিতেন বলে অভিযোগ। বিনিময়ে লালাকে ওয়াগন ভেঙে কয়লা বের করার সুযোগ করে দিতেন ওই কর্মীরা। তাঁরাই এখন সিবিআইয়ের নজরে।
অফিসাররা জেনেছেন, প্রতিদিনই ওয়াগন থেকে কয়লা চুরি হতো। এমনকী সেখানে যে সব কয়লা বাজেয়াপ্ত করে রাখা হতো, তাও পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই কারণে বারাবনির তদানীন্তন স্টেশন মাস্টার সহ সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনাল ম্যানেজার এবং চিফ কন্ট্রোলারকে ডাকা হয়েছে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, ওয়াগন থেকে কয়লা চুরি নিয়ে কোন অভিযোগ কখনও হয়েছিল কি না। যদি হয়ে থাকে, তাহলে কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি এই ঘটনা তাঁদের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল কি না, তাও জানতে চাওয়া হবে। অনুপ মাঝির সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হবে তাঁদের।
অন্যদিকে, কয়লা কাণ্ডে লালার ফান্ড ম্যানেজার বামাপদ দে’কে সোমবার নিজাম প্যালেসে দীর্ঘ সময় জেরা করেন অফিসাররা। কয়লা পাচার তদন্তে সিবিআই হানার পর নিতুড়িয়ার বাসিন্দা এই ব্যক্তি পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান শিলিগুড়িতে। সেখানে হানা দেয় সিবিআইয়ের টিম। আটক করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বামাপদের কাছ থেকে একটি ডায়েরি মিলেছে। তা থেকে অফিসাররা জেনেছেন, লালার টাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, পুলিস কর্তা ও আমলাদের একাংশের কাছে যেত। পুলিস ও আমলা মিলিয়ে মাসে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পাঠানো হতো। এমনকী কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের একাংশের কাছেও মাসে দু’ লক্ষ টাকা যেত। নগদ টাকা তিনি গাড়ি করে কলকাতায় নিয়ে আসতেন। কয়লার এই কালো টাকা পুলিসি প্রহরায় আসত বলে দাবি করেছে সিবিআই। যে সব আমলা ও পুলিস কর্তাদের কাছে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন, তাঁদের নাম ওই ডায়েরিতে মিলেছে। সেইসঙ্গে সিবিআই দাবি করেছে, বামাপদ যে লালার টাকা পাচারের কাজ করতেন, তা জেরায় স্বীকার করেছেন তিনি।