শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শুধু তাই নয়, এই মধু প্যাকেজিংয়ের উপর বাড়তি জোর দেওয়ার জন্য একটি যন্ত্র আসছে। ডব্লুডব্লুএফের তরফে তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। একমাসের মধ্যে সেটা হাতে পাওয়ার কথা বনদপ্তরের। এই যন্ত্র বসানো হবে কুলতলির ভুবনেশ্বরীতে। কিন্তু তার ঘর তৈরি হয়নি। অনেক দিন আগে থেকে চালু এই প্রকল্পের অধীনে শীঘ্রই সেই কাজ করে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা বনবিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, লক্ষাধিক টাকার এই যন্ত্রের সাহায্যে একলপ্তে অনেক বোতল প্যাকেজিং করা যাবে। এখন কর্মীরা হাতে করে এই কাজ করেন। তাতে সময় বেশি লাগে। দেশ-বিদেশে যাচ্ছে সুন্দরবনের এই মধু। তাই প্যাকেজিং ভালো করতে এই ব্যবস্থা করতে হতই। ২০১৯ সালে প্রথমবার এই কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু চাষের কাজ শুরু করেছিল বনদপ্তরের দক্ষিণ ২৪ পরগনার আঞ্চলিক বিভাগ। সেবার ২০-২২ কুইন্টাল মধু হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন কর্তারা। কিন্তু সব প্রত্যাশা ছাপিয়ে ৩২ কুইন্টাল মধু উৎপাদিত হয়। চাহিদা এতটাই তৈরি হয় যে, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অ্যামাজনে একদিনে একহাজার বোতল এই মধু অর্ডার করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় হাহাকার পড়ে যায় এই মধুর। জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ জায়গাতেই স্টক শেষ হয়ে গিয়েছে। খুব সামান্য পরিমাণ মধু আপাতত পড়ে রয়েছে। এই সাফল্যকে মাথায় রেখে আগামী দিনে এর চাহিদা মেটাতে বনদপ্তরের কর্তারা ঠিক করেন, এবার এই মধুর উৎপাদন বাড়ানো হবে। নতুন বছরে ৩৯ কুইন্টাল থেকে বাড়িয়ে ৫০ কুইন্টাল মধু উৎপাদন করতে পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর বাড়তি জোর দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ৪০০ বাক্সে মৌমাছি প্রতিপালন করে এই মধু উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছিল। আরও ২০০ বাক্স দিয়ে বছরের শেষের দিকে লক্ষ্যমাত্রার কাছে পৌঁছনো যাবে বলে আশাবাদী জেলা আধিকারিকরা। সাধারণত, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাঘের ডেরায় মাছ বা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে অনেকেরই প্রাণ গিয়েছে। সেই ঝুঁকি এড়াতে বহু মৎস্যজীবীকে এই কাজে নিযুক্ত করেছে বনবিভাগ। এবারও এমন আরও ৪৪ জনকে এই কৃত্রিমভাবে মধু চাষের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ অনেক আগেই শুরু করা হয়েছে।