শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এদিন আদালতে মামলাটি উঠলে সরকারি আইনজীবী সুরেশপ্রসাদ সিং ধৃতের জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এই কোকেন কাণ্ডে গ্রেপ্তারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল মোট ৬। যার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে আছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামীও। সরকারি আইনজীবী বলেন, এই ঘটনার পিছনে একটি ‘চক্র’ জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। পুলিস তা তদন্ত করে দেখছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ওই বিজেপি নেত্রীর গাড়ি থেকে কোকেন পাওয়া নিয়ে তিনি যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন রাকেশের বিরুদ্ধে সেই ব্যাপারে পুলিস জোরদার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত তথ্য মিলেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার দিন পামেলার গাড়িতে মোট কতজন ছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবীর মন্তব্য, পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
তবে প্রাথমিকভাবে এই কাণ্ডে রাকেশের যোগসাজশের প্রমাণ মিলেছে বলে সরকারি আইনজীবী মন্তব্য। তিনি বলেন, এই ঘটনার পিছনে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। যদিও এদিন রাকেশ দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আদালতে তাঁর আইনজীবীদের অভিযোগ, তাঁর মক্কেলকে অহেতুক এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আদালতে রাকেশের দাবি, স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে পুলিস তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি পুলিসের ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেন। এদিকে, সরকারি আইনজীবী জানান, এদিন মাদক আইনের ২৭এ ধারা এই মামলায় সংযুক্ত করার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়। তাঁর ব্যাখ্যা, নিষিদ্ধ মাদক কেনাবেচার জন্য যদি কোনও ব্যক্তি ওই চক্রে টাকা ঢালে, তবে তার ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা হয়।
এদিকে, এই মামলায় অভিযুক্ত পামেলা গোস্বামী বর্তমানে পুলিস হেফাজতে আছেন। এই ঘটনার পিছনে রাকেশের হাত রয়েছে বলে তিনি প্রথম থেকেই দাবি করছেন। তাঁকে ফের ৪ মার্চ আদালতে হাজির করা হবে। সব মিলিয়ে এদিনও পামেলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন এই বিজেপি নেতা ও তাঁর আইনজীবীরা।