বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রাক্তনীরা এখন বেশিরভাগই বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদে কর্মরত। কেউ কেউ ব্যবসাও করেন। কলকাতায় রয়েছেন এমন কয়েকজন, যাঁরা বাকিদের সঙ্গে এব্যাপারে যোগসূত্র রক্ষা করছেন। তাঁদেরই একজন সূর্যদীপ্ত দত্ত জানান, হাসনাবাদ ব্লকের বালিয়াডাঙা গ্রামটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ওই গ্রামকেই এই প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি তৈরির জন্য আড়াই লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বাড়িতে থাকবে দু’টি ঘর, তারমধ্যে একটি শোওয়ার। আর থাকবে একটি বাথরুম ও রান্নাঘর। আপাতত ২৫ লক্ষ টাকা মিলেছে দেশ-বিদেশের প্রাক্তনীদের কাছ থেকে। অন্যান্য বছরের প্রাক্তনীরাও উৎসাহ দেখিয়েছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রাক্তনীদের কাছে পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তো সরকারও তৈরি করছে। তাহলে এই উদ্যোগ কেন? উদ্যোক্তারা বলেন, বিডিও অফিসে গিয়ে খাতা খুলে দেখা হয়েছে, কারা এই সুবিধা পেয়েছেন, আর কারা পাননি। যাঁরা সুবিধা পাননি, তাঁদের মধ্যে যাঁদের প্রয়োজন বেশি, স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা ‘ছাদ’ প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বিষ্ণু লেই, স্বাধীন লেইরা এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁদের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক। তাঁরা জানালেন, এই বাড়ি পেলে তাঁদের খুবই উপকার হবে। এই বাড়িগুলি তৈরি হচ্ছে যাদবপুরের কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১১ সালের ব্যাচের এক ছাত্রের তত্ত্বাবধানে।
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, উম-পুনের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামাল দিতে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও এগিয়ে আসতে হয়। প্রাক্তনীদের এই উদ্যোগ তারই উদাহরণ। তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, বাড়ি তৈরির পাশাপাশি পরবর্তীকালে পানীয় জল ও নিকাশি, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে এই প্রাক্তনীদের।