বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী প্রবীণ বাম নেতা সুদর্শন রায়চৌধুরী এদিন উত্তরপাড়ায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করেন। তিনি বলেন, সর্বত্র মানুষের সমর্থন আমরা পেয়েছি। শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। ফলে কিছু ক্ষেত্রে মানুষ তাঁদের স্বাভাবিক মত প্রকাশ করতে পারেননি। তৃণমূল নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, কিছুটা জনসমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়তো বামনেতৃত্ব অতিউৎসাহী হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য থেকে কর্মনাশা বন্ধ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। সেই সংস্কৃতিকে বামেরা ফেরাতে চেয়ে ঠিক করেনি। মানুষ তাদের ধর্মঘটকে প্রত্যাখ্যান করে উপযুক্ত জবাব দিয়ে দিয়েছে। চার জেলার পুলিস কর্তারা জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ধর্মঘট ছিল শান্তিপূর্ণ।
শুক্রবার সকাল থেকে শহরতলিতে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ করতে নেমেছিল ধর্মঘটের সমর্থকরা। বেলঘরিয়া, ডোমজুড়, বহড়ু সহ একাধিক স্টেশনে ট্রেন চলাচলে সামান্য বিঘ্ন ঘটে। পাণ্ডুয়ায় এক আইটিআই ছাত্রী অবরোধে আটকে পড়ায় পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরে জেলায় জেলায় পথ অবরোধ শুরু হয়। হাওড়ার একাধিক জায়গায় বাম-কংগ্রেস জোট এদিন পথ অবরোধ করে। বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড়ে পথ অবরোধ ও মিছিলকে ঘিরে যানজট তৈরি হয়। শহরতলির একাধিক জায়গায় পথ আটকে ফুটবল খেলতে দেখা যায় বাম সমর্থকদের। উত্তরপাড়ায় পুলিসকে চকোলেট বিতরণ করেন পিকেটাররা।
প্রথম দিকে ধর্মঘটের প্রভাব কিছুটা পড়লেও বেলা বাড়তে শহরতলিতে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এই সময় ধর্মঘটীদের জোরজুলুম করতে দেখা যায়। ইছাপুরে পথচারীকে মারধর করে বাইক ভেঙে দেওয়া হয়। হুগলির একটি ব্যাঙ্কেও ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়। শহরতলির শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি।