বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের আইসি শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেন, স্টেশন এলাকায় টাকা বিলির বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। এনিয়ে অভিযোগও হয়নি।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক নীরজ কুমার বলেন, জয় শ্রীরাম যে কেউ বলতেই পারেন। দুঃস্থ মানুষকে দানও যে কেউ করতেই পারেন। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।
তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, যে দল কেন্দ্রে রয়েছে, তাদের প্রচুর টাকা। হিন্দি বলয়ের লোকেদের এনে বাংলা দখলের ছক কষছে। কিন্তু, টাকা পয়সা দিয়ে মানুষের মন জেতা যাবে না। মানুষের হৃদয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তাই আমরা এলাকার মানুষকে বলছি, যে যা টাকা দেয় নিয়ে নিন। মাংসভাত খেয়ে ফেলুন। ভোটটা জোড়াফুলে দিন।
আশ্রমের কর্মকতারা বলেন, এক প্রবীণ স্বামীজির বেনারসে আশ্রম রয়েছে। ভক্তদের দেওয়া দানের টাকা তিনি নিজে নেন না। গরিব মানুষকে বিলিয়ে দেন। সেই উদ্দেশ্যেই আমরা এদিন বিষ্ণুপুরে এসেছি। এখানকার কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দাদের একত্রিত করে নগদ অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। আশ্রম কর্তৃপক্ষের কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেয়নি।
প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজীবকান্তি রায় বলেন, এদিন সকালে ফোন করে স্থানীয় মন্দিরের সামনে ফাঁকা জায়গায় কিছু গরিব মানুষকে সাহায্য এবং নামগান করার অনুমতি চায়। ভালো উদ্যোগ ভেবে আমি মৌখিক অনুমতি দিই। কিন্তু এসে দেখি, প্রত্যেককে নগদ ৫০০টাকার নোট দেওয়া হচ্ছে। তা দেখে আমি অবাই হই। টাকা বিলির সময় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠায় অবাক হয়ে যাই। টাকা বিলি শেষ করেই তাঁরা ফিরে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেনারসের একটি আশ্রম কর্তৃপক্ষ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের বাইরে বেশ কিছু মানুষকে লাইন দিয়ে বসিয়ে নাম সংকীর্তন শুরু করে। কিন্তু, রেলের আপত্তিতে তাঁরা সেখান থেকে সরে মন্দিরের সামনে জড়ো হন। সেখানে প্রায় ৪০০ জনের হাতে কড়কড়ে পাঁচশো টাকার নোট বিলি করা হয়। শিশুরাও বাদ যায়নি। তাদের হাতে ১০টাকার নোট ধরানো হয়। টাকা বিলির সময় বেশ কয়েকবার ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন। কড়কড়ে পাঁচশো টাকার নোট হাতে পেয়ে লাইনে বসা লোকজনও স্লোগানে গলা মেলান। তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।