বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বারাসত শহরে ফুটবলের বড় স্টেডিয়াম রয়েছে। সেখানে বড় বড় ম্যাচ হয়। কিন্তু, এই শহরে ব্যাডমিন্টনের জন্য কোনও ইন্ডোর স্টেডিয়াম ছিল না। স্থানীয়দের কথা ভেবে সাংসদ নিজে উদ্যোগী হন। পুরসভাও এই উদ্যোগে শামিল হন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের জন্য ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু, প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬৫ লক্ষ টাকা। তখন এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাংসদ নিজের তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দেন। চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিধায়ক তহবিল থেকে বাকি ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।
কিন্তু, টাকা জোগাড় হলেও জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। কারণ, শহরের বুকে এই ইন্ডোর স্টেডিয়াম করার জন্য পুরসভার কাছে একসঙ্গে পাঁচ-ছ’কাঠা জমি ছিল না। কে এন সি রোডে কিছুটা বেসরকারি জমি ছিল। সেই জমি দেওয়ার জন্য পুরসভার তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান তথা বর্তমান পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অশনি মুখোপাধ্যায় পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জমি দিতে রাজি হয়ে যান। সাড়ে পাঁচ কাঠা তাঁরা দান করেছেন। অশনিবাবু বলেন, আমি রাজীব পাল নামে ওই পরিবারের এক সদস্যকে জমির কথা প্রথম জানিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, যা প্রকল্পই হোক, যেন তাঁর ঠাকুমার নামে করা হয়। সেকথা রেখে আমরা তাঁর প্রয়াত ঠাকুমা ইন্দুরেখা পালের নামেই এই ইন্ডোর স্টেডিয়াম করেছি—‘ইন্দুরেখা ইন্ডোর স্টেডিয়াম (ব্যাডমিন্টন)’। নামী কোচ এনে একটি কোচিং অ্যাকাডেমিও করা হবে।
সাংসদ বলেন, বারাসত শহরে ভালো ইন্ডোর স্টেডিয়াম ছিল না। তাই এটি তৈরি করা হল। এবার শহরে খেলাধুলোর মান আরও উন্নত হবে।
নবনির্মিত সেই স্টেডিয়াম। -নিজস্ব চিত্র