গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন মনদীপের। তারপর থেকে মা ও দাদার সঙ্গে সে সোমপাড়ায় মামারবাড়িতে থাকতে শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে চাকদহের পূর্বাচলে সে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। বেলা দশটার দিকে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, দুপুর গড়িয়ে বিকাল হওয়ার পরও সে না ফেরায় পরিবারের সকলেই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু, রাত পর্যন্ত তার কোনও হদিশ মেলেনি। থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান। কিন্তু, বুধবার মিসিং ডায়েরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গভীর রাতে পুলিস ফোন করে পরিবারের লোকজনকে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার কথা জানায়। বুধবার পরিবারের লোকজন গিয়ে তার মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
মনদীপের মামা প্রদীপকুমার সোম বলেন, আমার দুই ভাগ্নে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। মনদীপের দাদা দুবছর আগে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পায়। মনদীপ ছোট। সে মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল। পড়াশুনার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তারজন্য আমরা ওকে মোবাইল দিইনি। বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল ওর। মেডিকেলে পাশ করলে ভালো মোবাইল কিনে দেওয়ার কথা আমি বলেছিলাম। মঙ্গলবার টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় তার কাছে কোনও মোবাইল ছিল না। ফলে, ও কোথায় রয়েছে তা আমরা জানতে পারিনি।
তবে, এই মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কিছু রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রথমত, টিউশন না থাকলে সে সোজা বাড়ি চলে যেত। কিন্তু, সাইকেল করে গঙ্গার ধারে কেন গেল? তার সঙ্গে আর কোনও বন্ধু ছিল? গঙ্গায় পা পিছলে পড়ে গেলে দেহ তলিয়ে যেত। কিন্তু, গঙ্গার ধার থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাহলে এর পিছনে কোনও কোনও কারণ রয়েছে। গঙ্গার ধারে একটি বাগান থেকে সাইকেলটি উদ্ধার হয়েছে। সেই বাগানে সে একা কেন গিয়েছিল?