বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে অসমের দুমদুমা থানা এলাকায় পাঁশকুড়ার দুই রাজমিস্ত্রি শেখ ইদ্র্রিশ(৫২) ও শেখ মহম্মদ(৪৫) খুন হন। ১২ তারিখ দুপুরে পাঁশকুড়ায় মৃতদেহ পৌঁছায়। ইদ্রিশ সাহেবের বাড়ি সিদ্ধা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর ও মহম্মদ সাহেবের বাড়ি পাঁশকুড়া পুরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের গড়পুরুষোত্তমপুর।
বুধবার দুপুরে ইদ্রিশ সাহেবের বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে ২লক্ষ টাকা তুলে দেন শুভেন্দুবাবু। এরপর তিনি বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকেই খুন হওয়া দুই ব্যক্তির পরিবারের পাশে আছি। অসমে এনআরসি নিয়ে ঘৃণার সঞ্চারের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবাই ভারতীয়। অসম রাজ্যও ভারতবর্ষের মধ্যে। অসমে যেতে গেলে তো ভিসা করতে হয় না। অথচ এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যেন অসম ভারতবর্ষের বাইরে রয়েছে। সেখানকার ঘৃণার পরিবেশের বলি হয়েছে পাঁশকুড়ার দুই গরিব মানুষ। আমরা মৃতের পরিবারকে পাঁশকুড়া থানায় এফআরআর করার কথা বলেছি। ওখানে পুলিস গটআপ গেম করিয়েছে। যাতে বাংলা থেকে কেউ এই ঘটনা ইস্যু করতে না পারে। পুলিস ওখানে একজনকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছে। খুন করার আগে ওরা জানতে চেয়েছিল, কোথাকার লোক ও কী নাম। বাঙালি ও সংখ্যালঘু জানার পর এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
শুভেন্দুবাবু বলেন, একইভাবে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা আফরাজুলকে জয়পুরে খুন করা হয়েছে। ঘৃণার পরিবেশ তৈরির ফলে এইসব ঘটনা ঘটেছে। অসম পুলিস আগেভাগে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই কেসটা করেছে। এদিন আমরা ২লক্ষ টাকা সাহায্য করেছি। মৃতের স্ত্রীকে বিধবাভাতা দেওয়া ছাড়াও বাড়ি তৈরি সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া বিচার পাওয়ার জন্য আমরা এফআইআর করাচ্ছি। মানবাধিকার কমিশন ও মাইনরিটি কমিশনেও অভিযোগ জানানো হবে।