বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসেই মাটি উৎসব হয়। সেইমতো এবারও বর্ধমানে সাধনপুরে কৃষিফার্মে মাটিমঞ্চ প্রাঙ্গণে মাটি উৎসবের সবকরম প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। মাটিমঞ্চ প্রাঙ্গণে স্টল সাজানোর পাশাপাশি বাগান সাজানো সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে মাটি উৎসবের সূচনা করবেন, এমনটা ধরে নিয়েই সবকরম প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে কোন দপ্তরের স্টলের জন্য কতটা জায়গা লাগবে, তা নিয়েও রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী সম্প্রতি বিভিন্ন দপ্তরকে চিঠি দিয়ে কোন কোন প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা যাবে, তা নিয়েও রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেন।
কিন্তু যাবতীয় প্রস্তুতির মধ্যেই বুধবার আচমকা রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, প্রতিটি জেলায় এবার মাটি উৎসব হবে। মুখ্যমন্ত্রী হুগলি জেলার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। মাত্র চার ঘণ্টার মাটি উৎসব হবে। ফলে এত অল্প সময়ের মাটি উৎসবের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তাই বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে আগেভাগে যেসব টেন্ডার ডাকা হয়েছিল, তার কী হবে এনিয়ে প্রশ্ন উঠে। সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে বৃহস্পতিবার পূর্ত দপ্তরের বর্ধমান ডিভিশন-১-এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জনিয়ার ভজন সরকার, কৃষি দপ্তরের জেলা উপ অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে দেখা করতে যান। জেলাশাসক স্পষ্টভাবে জানান, টেন্ডার হলেও ওয়ার্কঅর্ডার হয়নি। ফলে টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করতে কোনওরকম সমস্যা নেই।
এদিকে, এবার কেন্দ্রীয়স্তরের মাটি উৎসব বর্ধমানে না হওয়ায় অনেকেই হতাশ। ওই উৎসবকে ঘিরে সাতদিন ধরে বর্ধমানের মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমত। প্রতিটি দপ্তরের স্টল বসত এবং নানারকম সরকারি সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু, এবার মাত্র চার ঘণ্টার অনুষ্ঠান হবে। খরচেও রাশ টানা হচ্ছে।