বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল নাগাদ রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন থানার আওতায় সিভিক ভলান্টিয়াররা কর্মরত রয়েছেন। প্রথম দিকে গ্রামীণ এলাকার থানাগুলিতে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাঁধাধরা কোনও ডিউটি ছিল না। তবে শহরের সিভিক ভলান্টিয়াররা প্রথম থেকেই ট্রাফিক সামলানোর পাশাপাশি পুলিস কর্মীদের নানা কাজে সাহায্য করতেন। পরবর্তীকালে সাম্মানিক বৃদ্ধির পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের ব্যাপ্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। বর্তমানে রাস্তার মোড়, মেলা বা উৎসব প্রাঙ্গণ, জনবহুল বাজার, রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক সভাস্থল, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন চত্বর সহ বিভিন্ন জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোতায়েন করা হয়। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও তাঁদের ব্যবহার করা হয়। বড় কোনও গণ্ডগোল, ডাকাতি বা হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে পুলিসের পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করা হয়। সরকারি অফিস-কাছারি, ব্যাঙ্ক-ডাকঘর, এটিএমের সামনে পাহারার দায়িত্বে রাখা হলেও সংশোধনাগারের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় এই প্রথম সিভিক মোতায়েন করা হচ্ছে।
কারাদপ্তর এবং পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে ৬৫, আলিপুরদুয়ারে ২০, জলপাইগুড়িতে ৪০, দার্জিলিংয়ে ৭০, উত্তর দিনাজপুরে ৩০, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২০, মালদহে ২০, মুর্শিদাবাদে ৮৫, পুরুলিয়ায় ৪৫, বাঁকুড়ায় ৩০, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮০, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩০, বীরভূমে ৪০, বর্ধমানে ১২৫, হুগলিতে ৬৫, হাওড়ায় ৩০, নদীয়ায় ৭০, উত্তর ২৪ পরগনায় ১২৫ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংশোধনাগারগুলিতে ১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি কারাদপ্তরের ওএসডি তথা পদাধিকারবলে মহানির্দেশক অরুণকুমার গুপ্ত সমস্ত সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্টদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। এব্যাপারে স্থানীয় পুলিস সুপার বা পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সংশোধনাগার সুপারিন্টেন্ডেন্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিসের অতিরিক্ত মহানির্দেশক পদমার্যাদার এক আধিকারিকও পুলিস সুপার এবং পুলিস কমিশনারদের পৃথক একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।
কারাদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সংশোধনাগারগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা অনেক কম। কর্মীরা অবসর গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট শূন্যপদে লোক নিয়োগ করা হয়নি। ফলে সংশোধনাগারের আধিকারিক এবং কারারক্ষীদের সাহায্যকারী হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। তবে সংশোধনাগারের ভিতরে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। বন্দিদের কাছেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। কর্মীদের মেস, সহ সংশোধনাগারের চারপাশে পাহারার কাজে তাঁদের লাগানো হবে। ‘ওয়াকি-টকি’ চার্জ করার পর রক্ষী বা আধিকারিকদের কাছে তা তাঁরা পৌঁছে দেবেন। সংরক্ষিত ভবনের রক্ষীদের সাহায্যকারী হিসেবে তাঁদের কাজে লাগানো হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে সংশ্লিষ্ট সিভিক ভলান্টিয়ারকে চালকের কাজ দেওয়া হবে।
হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ বন্দিদের ওষুধ সরবরাহের জন্য কারারক্ষীদের তাঁরা সহায়তা করবেন। ‘মেসেঞ্জার’ বা বার্তাবাহক হিসেবেও তাঁদের কাজে লাগানো হবে। আধিকারিকরা মনে করলে ‘অর্ডারলি’ ডিউটিও করাতে পারেন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ডিউটি করতে হবে। সপ্তাহে একদিন তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া হবে। আগাম না জানিয়ে কেউ একাধিক দিন কাজে যোগ না দিলে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিস সুপার বা পুলিস কমিশনারদের জানানোর জন্য সংশোধনাগার সুপারদের বলা হয়েছে।
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, সংশোধনাগারে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েনের ব্যাপারে নির্দেশিকা এসেছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।