বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, এই ধরনের কার্বাইন ওই মাফিয়ার কাছে আরও দু’টি রয়েছে। সেগুলিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সে এই অস্ত্রগুলি একজনের কাছ থেকে কিনেছিল বলে দাবি করেছে। এ ধরনের অস্ত্র সহজে কেউ পায় না। তবে কার্বাইনটি বেশ পুরনো। তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, পুরুলিয়া থেকে এই অস্ত্রটি আসতে পারে। ওই মাফিয়ার কাছে কার্বাইন ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র রয়েছে। সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুরুলিয়ায় অস্ত্র বর্ষণ হয়েছিল। সেইসময় বহু অস্ত্র ঘুরপথে মাফিয়াদের হাতে চলে আসে। অত্যাধুনিক এই কার্বাইনটি উদ্ধারের পর পুলিস আধিকারিকদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাঁদের মতে, পুলিসের কাছেও এত শক্তিশালী অস্ত্র থাকে না। অথচ মাফিয়াদের হাতে এসব অস্ত্র পৌঁছে গিয়েছে। এরকম কার্বাইন বা একে ৪৭জাতীয় অস্ত্র শিল্পাঞ্চলে আরও অনেক রয়েছে। পুলিস কমিশনারেটের আর এক আধিকারিক বলেন, কৃষ্ণেন্দুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কার্বাইনটি থেকে এক নাগাড়ে ৪৬টি গুলি চালানো যেতে পারে। কিন্তু, মুঙ্গেরের তৈরি কার্বাইন থেকে ৩৫ থেকে ৪০টি গুলি একসঙ্গে বের হয়।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কৃষ্ণেন্দু গত শুক্রবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তারপর থেকেই পুলিস তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এডিসিপি অনমিত্র দাস বলেন, ওই মাফিয়াকে জেরা করেই অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের কাছে কার্বাইনটি পাঠানো হবে।
পুলিস জানিয়েছে, কৃষ্ণেন্দুর বিরুদ্ধে তোলাবাজি, জোর করে জমি দখল, ক্যাটারিং ব্যবসায়ীকে খুন সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিন বছর আগেও সে বার্নপুরের ‘ভাগ্যবিধাতা’ ছিল। তার অনুমতি ছাড়া ইস্কোয় কেউ ব্যবসা করার সাহস দেখাত না। এছাড়া বার্নপুরে কেউ জমি কিনতে গেলে ওই মাফিয়ার সবুজ সঙ্কেত দরকার হতো বলে অভিযোগ। এমনকী তার বিরুদ্ধে জোর করে ফ্ল্যাট দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। ওই মাফিয়াকে একসময় তার সঙ্গীরা ঘিরে রাখত। তাদের অনেকের কাছেই অত্যাধুনিক অস্ত্র থাকত। পুলিস সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, শিল্পাঞ্চলে এর আগে নাইনএমএম বা সেভেন এমএম জাতীয় অত্যাধুনিক বহু পিস্তল উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু, কার্বাইন উদ্ধারের ঘটনা বিরল। এই ধরনের অস্ত্র মাফিয়াদের হাতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা থেকেই যায়। ওই মাফিয়াকে সেকারণে ভালোভাবে জেরা করা হবে। সে বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে বলে অনুমান। কার্বাইনটি কলকাতার নিউটাউনের একটি পরিত্যক্ত আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, কৃষ্ণেন্দুর হাত অনেকটাই লম্বা। অনেক প্রভাবশালীও একসময় তার সঙ্গে সুর মেলাত। কিন্তু, হঠাৎ করেই সে শিবির বদল করে। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার এক নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার পরই তার পতনের শুরু হয় বলে শহরের অনেকে মনে করছেন। সেই সময় একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে তার টানাপোড়েন চরমে ওঠে। এক শীর্ষ আধিকারিককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সে আদালতে মামলা করে। এরপরেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে।