বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার থানার আইসি রবীন থাপা বলেন, ধৃত ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ওই বৃদ্ধাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে অশান্তির জেরেই বৃদ্ধা খুন হয়ে থাকতে পারেন। বৃদ্ধার বড় ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতালে পাঠিয়ে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার তিন ছেলে। বড় ছেলে অসিত তিরকি বিয়ে করে আলাদা থাকত। মা ছেলেদের মৌখিকভাবেই জমিজমা ভাগ করে দিয়েছেন। বড় ছেলে মদ্যপান করে টাকা নষ্ট করত। নিজের ভাগের জমি বিক্রিও করতে চাইত। বড় ছেলে যাতে জমি বিক্রি করতে না পারে তার জন্য জমির কাগজপত্র তাকে দেননি বৃদ্ধা। এই রাগেই মায়ের সঙ্গে বড় ছেলের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় এই অশান্তি চরমে উঠলে হাতের কাছে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধা মাকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে অসিতবাবুর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধা মায়ের। রাতেই পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিস অসিতবাবুকে গ্রেপ্তার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। রবিবার ধৃতকে পুলিস আলিপুরদুয়ার আদালতে পাঠায়। আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী হিউয়েন সাং টিটুং বলেন, আদালত ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিসের হেফাজতে পাঠিয়েছে।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের অশোক কার্জি বলেন, জমি নিয়ে বড় ছেলের সঙ্গে বৃদ্ধা মায়ের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। অসিত তিরকি মদ্যপান করত ও জমি বিক্রি করতে চাইত। তার জন্য বৃদ্ধা মাকে এভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে কুপিয়ে খুন করবে ভাবতে পারছি না।