বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের হিতেন বর্মন বলেন, শীতলকুচির কমিউনিটি হলটিকে অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। এই হলের মঞ্চ, আলো, সাউন্ড সিস্টেম, দর্শকাসন সব কিছুই নতুন করে করা হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে হলঘরটির সংস্কার করার চেষ্ঠা করে আসছিলাম। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কোচবিহারের নবনির্মিত অডিটোরিয়ামের আদলে শীতলকুচির কমিউনিটি হলকে সাজিয়ে তোলা হবে। বিগত বাম আমলে ন’য়ের দশকে শীতলকুচি বাজারের চৌপথী এলাকায় কমিউনিটি হলটি তৈরি করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের টাকায় হলঘরটি কোনওক্রমে তৈরি হলেও দর্শকাসনের চেয়ার, বিদ্যুৎ সংযোগ, সাউন্ড সিস্টেম কোনও কিছুই করা হয়নি। কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় হলঘরটির উদ্বোধনও হয়নি। বাম আমলে দলীয় কিছু কর্মসূচি ছাড়া কোনও সামাজিক কাজে হলঘরটি ব্যাবহারও হয়নি। মাঝখানে প্রায় দশবছর পুরোপুরি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল হলঘরটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই কমিউনিটি হলটি শীতলকুচি ব্লকের সাংস্কৃতিক চর্চার পীঠস্থান হয়ে ওঠার বদলে বিগত কয়েকবছর সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতি হলঘরটির সামান্য সংস্কার করে। হলঘরটিকে সাজিয়ে তোলার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর চারকোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। হলঘরের ভিতরে আগে যে কাঠের মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছিল সেটিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আবার নতুন করে মঞ্চটি তৈরি করা হবে। দর্শকাসনে বসানো হবে নতুন চেয়ার, অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হবে। শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতি হলঘরটির রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে হলঘরটি ব্যবহার করতে পারবেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মালতী পাল বলেন, শীতলকুচির কমিউনিটি হলটি আমরা একবার আংশিক সংস্কার করেছিলাম। কারণ গোটা হলটি সাজিয়ে তোলার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা পঞ্চায়েত সমিতির কাছে নেই। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর চারকোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই টাকায় হলটি সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আমরা আশা করছি শীতলকুচির সাংস্কৃতিক চর্চার পীঠস্থান হয়ে উঠবে এই কমিউনিটি হল।