বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে ‘নীচ আদমি’ বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। সেই মন্তব্যের জেরে আইয়ারকে সাসপেন্ড করে কংগ্রেস। আইয়ার মনে করেন, নরেন্দ্র মোদিকে মূল্যায়ণ করে যে মন্তব্য তিনি করেছিলেন, তা যথোপযুক্ত। নিবন্ধে আইয়ারের পাল্টা প্রশ্ন, ‘২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর মোদিকে নিয়ে কি বলেছিলাম মনে করুন। আমি কী ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ছিলাম না?’২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আর মোদিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আইয়ারের মতে, মানুষ মোদিকে ক্ষমতাচ্যূত করবে।
প্রত্যাশিতভাবেই মণিশঙ্কর আইয়ারকে জড়িয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপি মুখপাত্র জি ভি এল নরসিমহা রাও এই নিয়ে ট্যুইটে লেখেন, ‘নীচ’ মন্তব্য সমর্থন করে ‘মানহানিকর মন্তব্যকারী দলের প্রধান’ আইয়ার ফিরে এসেছেন। জি ভি এল আরও বলেন, ‘নীচ মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় আইয়ার তখন ভালো হিন্দি না জানার দোহাই দিয়েছিলেন। এখন তিনি নিজেকে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বলছেন। গত বছর কংগ্রেসও তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কংগ্রেসের দ্বিচারিতা এবং দাম্ভিকতা আবার প্রকাশ হয়ে পড়ল।’ এখানেই না থেমে জি ভি এল বলেন, পাকিস্তান বন্ধু আইয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয়তাবাদ বিরোধী বলে থাকেন। দেশ জানে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রভক্তির প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। পরিবারভক্তির জন্য আইয়ারের সুনাম রয়েছে। তাই গান্ধী ঘনিষ্ঠরা যে সকলেই অবমাননাকর মন্তব্য করবে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অপরদিকে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান অমিত মালব্য বলেন, আইয়ার আসলে শ্যাম পিত্রোদার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। উল্লেখ্য, এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের বিদেশ শাখার প্রধান পিত্রোদা শিখ বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে ‘হুয়া তো হুয়া’ মন্তব্য করেন। শত শত শিখের মৃত্যুকে খাটো করে দেখানোর অভিযোগ ওঠে শ্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধে। ব্যাপারটি নিয়ে পিত্রোদা ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক এখনও মেটেনি। আর এরমধ্যেই মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্য সামনে এল।
বিতর্ক ধামাচাপা দিতে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেছেন, ‘মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্য তাঁর একান্তই নিজস্ব। কংগ্রেস তা সমর্থনও করে না বা এর জন্য লজ্জিতও নয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য নরেন্দ্র মোদিরই বরং লজ্জিত হওয়া উচিত।’ রাজীব গান্ধীকে ‘ভ্রষ্টাচারী নাম্বার ওয়ান’ বলার জন্য দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে শেরগিল মন্তব্য করেছেন।