বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
কয়েকদিন ধরে পূর্বস্থলী-২ ব্লকের পারুলিয়া, কালেখাঁতলা, ফলেয়া, পাটুলির আড়তগুলিতে ২৮ থেকে ৩২ টাকা প্রতি কেজি দরে আম বিকোচ্ছে। তবে খুচরো বাজারে ওই আম প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পারুলিয়ার এক আড়তদার তপন চক্রবর্তী বলেন, আড়তে কয়েকদিন ধরে আম আসা শুরু হয়েছে। এখন পাইকারি দরে হিমসাগর, বোম্বাই, বিশাখী ও আঠির আম মিলছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আরও বেশি আমের আমদানি হবে। তখন স্বাভাবিকভাবে আমের দাম কমে যাবে।
পূর্বস্থলীতে হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, গোলাপখাস, মিঠুয়া, গোপালভোগ, আম্রপালি, আলফানসো, মল্লিকা, মধুকুলকুলে, সরিখাস, গোল্লা, চাটুজ্যে, ভূতোবোম্বাই আম সহ প্রায় ২৫ প্রজাতির আমের উৎপাদন হয়। এবার শিলাবৃষ্টি ও ফণীর ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আমচাষিদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হলেও আমের ফলনে এই দুর্যোগের কোনও প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এবার হিমসাগর আমের ফলন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
গত বছর রাজ্য আম উৎসবে পুরস্কৃত হয় পূর্বস্থলীর হিমসাগর আম। সেখানে ল্যাংড়া আম খেয়ে প্রশংসা করেছেন ইজরায়েল, আরব, দুবাই, চীনের আম ব্যবসায়ীরা। পূর্বস্থলীর সুস্বাদু আম তাঁদের দেশে নিয়ে যাওয়ারও বরাত দিয়েছেন রাজ্যের উদ্যান পালন দপ্তরকে। পূর্বস্থলীর আমচাষি সুধীর শীল, গোঁসাইদাস মণ্ডল বলেন, পূর্বস্থলী-২ ও ১ ব্লকে এবছর আমের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এখন যদিও গাছপাকা আমের সময় হয়নি। ইতিমধ্যে শ্রমিক, কীটনাশক বাবদ প্রচুর টাকা ব্যয় হয়েছে। নগদ আমদানির জন্য কাঁচা আমকে কার্বাইডে পাকিয়ে বিক্রি করছি। তবে আম রসিকদের জন্য এবার সুখবর। অধিক ফলনের জন্য এবছর পাকা আমের দাম সাধ্যের মধ্যেই থাকবে।
অন্যদিকে আম উৎসব নিয়ে নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমস্ত আমপ্রেমীদের বিনামূল্যে পাকা আম ও আম পোড়ার ঠান্ডা সরবত খাওয়ানো হবে। পূর্বস্থলীর আমের খ্যাতি সকলের কাছে তুলে ধরতেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।