বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
প্রসঙ্গত,বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় গত সোমবার ৫ মে সন্ধ্যায় খুন হন শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার কলমজোতের বাসিন্দা পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার পিন্টু ভৌমিক। মাটিগাড়া থানার পুলিস প্রথমে বৃহস্পতিবার পিন্টুবাবুর স্ত্রী সুমনা ভৌমিক বিশ্বাস ও বন্ধু মণীন্দ্র ওরফে মলিন সিংহকে আটক করে জেরা শুরু করে। টানা ১৪ ঘণ্টা জেরার পর তাঁরা খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। গত শুক্রবার পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের আদালতে তুলে সাত দিনের হে ফাজতে নিয়ে তদন্তে নামে পুলিস। ধৃতদের ফের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারী পুলিস অফিসাররা জানতে পারেন পিন্টুবাবুকে খুনের পর ওই রাতেই তাঁর দেহ ফুলবাড়ির রাজীবপাড়া সংলগ্ন তিস্তা ক্যানেলের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই শনিবার সকালে ধৃত মণীন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে পুলিস। শুরু হয় ক্যানেলে তল্লাশি। গজলডোবায় তিস্তা ক্যানেলের লকগেট বন্ধ করে জলস্তর কমিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী স্পিড বোট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। সেইসঙ্গে ডুবুরিও নামানো হয়। যদিও ওইদিন মৃতদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এরপর এদিন সকাল থেকে ফের একবার তল্লাশি শুরু হয়। বেলা গড়ালেও দেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপরেই মাটিগাড়া থানার ওসি সুবল ঘোষ ও এসআই শেখ মকসুদ আলি মৃতদেহের খোঁজ পেতে ফুলবাড়ি ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মহানন্দা ক্যানেলের ধার বরাবর হাঁটা শুরু করেন। লালদাসজোত পৌঁছতেই গ্রামবাসীরা তাঁদের জানান ব্যারেজ থেকে কিছুটা এগিয়ে প্লাস্টিকে মোড়া একটা দেহ জলের মাঝে পাথরে আটকে রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই পুলিস অফিসারেরা বিএসএফের মহানন্দা বিওপিতে যোগাযোগ করেন। বিএসএফের আধিকারিকরা মৃতদেহ উদ্ধারে পুলিসকে সাহায্য করেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছিল মৃতদেহ তিস্তা ক্যানেলের জলে ফেলা হয়েছিল। এরপরই শনিবার সকালেই তড়িঘড়ি গজলডোবা থেকে তিস্তা ক্যানেলের লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও তার আগেই মৃতদেহ জলে ভেসে ফুলবাড়ি ব্যারেজের লকগেট পেরিয়ে মহানন্দা ব্যারেজে পৌঁছায়। তবে জলস্তর ক্রমেই নামতে থাকায় মৃতদেহটি লালদাসজোত এলাকায় মহানন্দা বিওপি’র পিছনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গিয়ে পাথরের সঙ্গে আটকে ছিল। দেহটি প্রথম নজরে আসে লালদাসজোতের এক বৃদ্ধের। সন্তোষ সিংহ নামে ওই বৃদ্ধ বলেন, লালদাস জোত এলাকায় নদীর চরে গোরু চড়াতে গিয়েছিলাম। তখনই দেখি ক্যানেলের জলে কিছু একটা ভাসছে। সেটি প্লাস্টিকে মোড়া রয়েছে। এরপর ওই বৃদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়েই মাটিগাড়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে মৃতদেহ জল থেকে তুলে আনে। এক্ষেত্রে বিএসএফের মহানন্দা বিওপি’র আধিকারিকরা সহযোগিতা করেন। এরপর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। খুনের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি এতে জড়িত রয়েছে কি না পুলিস তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।