পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
পাঞ্জিপাড়া লাগোয়া বিহারের কিষাণগঞ্জের বাসিন্দা ইলেক্ট্রিকের সরঞ্জাম ব্যবসায়ী মোহনলাল শেঠিয়া এদিন নিজে স্কুটার চালিয়ে ইসলামপুর থেকে কিষাণগঞ্জে ফিরছিলেন। ইকরচালা কালীবাড়ি কাছে পেছনের দিক থেকে দু’টি মোটর বাইকে চারজন দুষ্কৃতী আসে। তারা আচমকাই মোহনলালবাবুর গলায় চাকু মারে। এতে ওই ব্যবসায়ী রাস্তায় পড়ে যান। তাঁর স্কুটারেই ঝোলানো টাকার ব্যাগটি নিয়ে দুষ্কৃতীরা মোটর বাইক ছুটিয়ে পালিয়ে যায়। মোহনলালবাবু দীর্ঘদিন ধরেই ইলেক্ট্রিকের জিনিসপত্র বিক্রি করেন। তিনি ইসলামপুরের বিভিন্ন ইলেক্ট্রিকের দোকানে মালপত্র সাপ্লাই দেন। কখনও তিনি নিজে আসেন কখনও আবার দোকানের কর্মীদের পাঠান। কোনও সময়ে ব্যবসায়ীরা গিয়েও তাঁর কাছ থেকে মালপত্র নিয়ে আসেন। ব্যবসায়ীক লেনদেনের সুবাদে তিনি মাঝেমধ্যেই ক্রেতাদের থেকে টাকা নেওয়ার জন্য ইসলামপুরে আসেন। অন্যদিনের মতো এদিনও তিনি ইসলামপুরে টাকা নিতে আসেন। একটি ব্যাগে টাকা নিয়ে ফেরার সময় তিনি দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েন। দুষ্কৃতীরা তাঁর গলায় চাকুর কোপ মারায় তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে কিষাণগঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিসের অনুমান, ইসলামপুর থেকেই দুষ্কৃতীরা তাঁর পিছু নিয়েছিল। পুলিস জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর চোট মারাত্মক রয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ব্যাগে কত টাকা ছিল তা এখনও জানা যায়নি। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তারা বিহারে পালিয়েছে। এজন্য বিহার পুলিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে ওই ব্যবসায়ীকে দুষ্কৃতীরা প্রায়ই অনুসরণ করত। ব্যবসায়ী সুস্থ হলেই তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে।