পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
দলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, চাকুলিয়ায় দলের নেতৃত্বের একাংশ সেতাবউদ্দিনকে সরিয়ে ভোলানাথ রায়কে ব্লক সভাপতির পদে আনতে চাইছে। ভোলাবাবু পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দলে এসেছেন। এবিষয়ে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিগেডের সভার পরে বিষয়টি তিনি দেখবেন। চাকুলিয়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেতাবউদ্দিন বলেন, দলের একাংশ আমাকে সরাতে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বলে আমি শুনেছি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরেই চাকুলিয়াতে সংগঠন মজবুত হয়েছে। ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি দখল করেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় টাকার বিনিময়ে টিকিট বিতরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে দলের নির্দেশ না মানার অভিযোগ কেউ তুলতে পারেন। কিন্তু আমি যা করেছি দলের ভালোর জন্যই করেছি। আমার সঙ্গে মানুষ আছে। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই। ভোলাবাবুকে আমার জায়গায় বসানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তিনি তো নিজেই পঞ্চায়েত সমিতিতে দলের টিকিটে তাঁর স্ত্রীকে দাঁড় করিয়েছিলেন। বিপুল ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছেন। ওঁর সঙ্গেও মানুষ নেই। ভোলানাথ রায় বলেন, আমি দলের হয়ে কাজ করছি। দল আমাকে দায়িত্ব দিলে তা পালন করব।
তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, এক মন্ত্রী, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি, ডিপিএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন এক সদস্য সহ কয়েকজন মুন্নাকে সরিয়ে তাঁর স্থানে ভোলাবাবুকে ব্লক সভাপতি করার দাবি তুলেছেন। যদিও এনিয়ে তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তবে দলের একাংশ আবার ভোলাবাবুর বিরুদ্ধেও ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। তাঁদের বক্তব্য, ভোলাবাবু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছেন। পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তাঁর স্ত্রী জয়ী হতে পারেননি। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁকে ব্লক সভাপতির মতো গুরুদায়িত্ব দিলে অনেকেই মানবেন না।
জাহিদ আলম আরজু বলেন, দলের সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য দল কাকে কী দায়িত্ব দেবে তা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের ব্যাপার। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল বলেন, বর্তমান ব্লক সভাপতির বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তাই হয়তো নেতৃত্ব পদক্ষেপ করতে চাইছে।
উল্লেখ্য, ভোলাবাবু কংগ্রেসের টিকিটে এর আগে জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। কানকি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ভোলাবাবুর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই ব্লকে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে দলের একাংশ। এদিকে তিন বছর আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা আবদুল গনিকে সরিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে দলে আসা সেতাবউদ্দিনকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্তঘাঁটি চাকুলিয়াতে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা একমাত্র মুন্নারই রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল ভালো ফল করেছে। এই দাবিও দলে রয়েছে।