পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিজেপি’র সুভাষ সরকার বলেন, এরকম হয়েছে বলে মনে হয় না। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছেও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা এই নিয়ে তদন্ত করব। অভিযোগের কতটা সারবত্তা আছে তখনই প্রমাণিত হবে। তবে ১০০ দিনের কাজ করার অধিকার সকলের রয়েছে। বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সুস্মিতা সুব্বা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত সম্পূর্ণ না হলে এনিয়ে এখনই আর কিছু বলা যাবে না।
১০০ দিনের কাজে এমন অভিযোগ তুলে সোমবার সরব হয় তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের সামনে দিনভর তারা বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কয়েকশো নেতা কর্মী। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে মাস্টার রোলে কয়েকশো ভুয়ো নাম রয়েছে, যেখানে একাধিক পদাধিকারীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়াও পঞ্চায়েতের অন্যান্য বিজেপি সদস্যদের পরিবারের অনেকের নাম মাস্টার রোলে রয়েছে। পাশাপাশি আশা কর্মী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি ও এলাকার বিজেপি কর্মীদের নামও ওই তালিকায় রয়েছে। তালিকার ওই ভুয়ো নামের কেউই ১০০ দিনের কাজ করছেন না। অথচ কাজে না গিয়ে তাঁদের নাম হাজিরা খাতায় উঠে যাচ্ছে। এতে আবার ওই প্রকল্পে নিযুক্ত প্রকৃত শ্রমিকদের বেশি কাজ করতে হচ্ছে। অথচ সেইমতো টাকা পাচ্ছেন না। কীভাবে কাজ না করেও ১০০ দিনের কাজের মাস্টার রোলে ভুয়ো ব্যক্তিদের নাম উঠল সেনিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা কমিটি সম্পাদক বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিজেপি নিজেদের সম্পত্তি মনে করছে। ১০০ দিনের কাজের যে মাস্টার রোল বানানো হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন পদাধিকারী এবং বিজেপি’র একাধিক সদস্যর আত্মীয়দের নাম রয়েছে। কাজ করার অধিকার সকলের রয়েছে। তবে ওই সব ব্যক্তিরা কেউ কাজ করছে না। ঘরে বসেই তাদের হাজিরা হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে এটা সম্ভব?
উল্লেখ্য, বিজেপি পরিচালিত ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০টি সংসদ রয়েছে। সেই সংসদগুলিতে ১০০ দিনের কাজ শুরু হয়েছে।তৃণমূলের অভিযোগ, ওই সব কাজে মাস্টার রোলে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্যর আত্মীয়দের নাম রয়েছে। মাস্টার রোলে নেতাদের ওই সব আত্মীয়স্বজনের নাম থাকলেও তাঁদের কাউকে কাজে যেতে হচ্ছে না। আগের তৃণমূলের সুপার ভাইজারদেরকেও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতের বিজেপি’র সদস্যরা যাবতীয় কাজ করছে। চূড়ান্ত অনিয়ম চলছে। মাস্টার রোলে নাম থাকলেও অনেককে কাজ করতে যেতে হচ্ছে না। সেই কাজ অন্য শ্রমিকরা করে দিচ্ছে। কোথাও কোথাও কাজে কম শ্রমিক যাওয়ায় সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে রাতারাতি জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে। ১০০ দিনের কাজে কর্মদিবস তৈরি করাই লক্ষ্য। এভাবে যন্ত্র দিয়ে কাজ করা যায় না।