বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
উচ্চবর্ণদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার ফলে আগামীদিনে দেশের কত শতাংশ মানুষ সংরক্ষণের আওতায় আসবে? রাজ্যসভায় একাধিক হিসাব পেশ করে বলা হয়েছে ভারতের ৯৬ শতাংশ মানুষই আসবে সংরক্ষণের আওতায়। কারণ উচ্চবর্ণের জন্য যে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তার প্রাপকদের যোগ্যতামান ধরা হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা কিংবা ৫ একর জমি থাকা। এরকম পরিবারের হার অন্তত ৯৬ থেকে ৯৭ শতাংশ। ৮ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের পরিবার খুব বেশি হলে তিন থেকে চার শতাংশ। সুতরাং দেশবাসীর সিংহভাগই চলে আসবে সংরক্ষণের আওতায়। ফলে উচ্চবর্ণের মধ্যে সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের জন্য সংরক্ষণ দেওয়া হলেও প্রতিযোগিতা যে বিশেষ কমবে এমন নয়। যদিও অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মোদি সরকার বিরোধীদের অনেকটাই চমক দিয়েছে। রাজ্যসভায় আজ সিংহভাগ দলই সংরক্ষণ বিল সমর্থন করেছে। তবে একইসঙ্গে একঝাঁক ধোঁয়াশা নিয়ে প্রশ্নও উত্থাপিত হয়। কংগ্রেসের কপিল সিবাল বলেন, উচ্চবর্ণের মধ্যে শুধুমাত্র আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সংরক্ষণের প্রস্তাব ছিল মণ্ডল কমিশনের সুপারিশেও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চ মন্ডল কমিশনের বাকি সুপারিশ মেনে নিলেও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য আরও ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। ৯ সদস্য বিশিষ্ট সুপ্রিম কোর্ট যে প্রস্তাব বাতিল করেছে আজ সুপ্রিম কোর্ট সেটা কী মেনে নেবে?
একইসঙ্গে কপিল সিবাল প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের ৫ শতাংশের কম মানুষ যেখানে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে, সেখানে সরকার কীভাবে স্থির করবে কার আয় ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে? আয়ের প্রমাণপত্র কীভাবে পাওয়া যাবে? চরম দুর্নীতি, স্বজনপোষণের রাস্তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়ান ২০১৩ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি বক্তব্য পড়ে শোনান আজ রাজ্যসভায়। সেখানে গুজরাতের সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, চাকরিই যদি না থাকে তাহলে সংরক্ষণের কোনও অর্থ হয় না। ডেরেক বলেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ছিল নরেন্দ্র মোদি! আজ বিরোধীরা বিল সমর্থন করলেও প্রত্যেকের বক্তব্য ছিল, যেখানে সরকারি চাকরিই প্রায় শূন্যে নিয়ে এসেছে মোদি সরকার সেখানে সংরক্ষণ অর্থহীন।