বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভুটানে এই গ্রাউন্ড স্টেশনটি তৈরির কাজ খুব শীঘ্রই শেষ হবে। তাঁর কথায়, ভুটানের সঙ্গে সহযোগিতার প্রশ্নে এই মহাকাশ কেন্দ্র একটি নতুন অধ্যায়। এর ফলে ভুটান উপকৃত হবে। পরিবেশ এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা, টেলি-মেডিসিন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যাবে তারা। সূত্রের খবর, ভুটানের পর বাংলাদেশ ও মালদ্বীপে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে। তিন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এরপর নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় তা বাস্তবায়ন করা হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো ছাড়াও এই উদ্যোগ ভারতের কৌশলগত পরিধি বাড়াতে সাহায্য করবে। টেলিভিশন সম্প্রচার, টেলিফোন, ইন্টারনেট, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেলি-মেডিসিনের মতো ব্যাপারে এসব স্টেশন ও টার্মিনালগুলো ব্যবহার করা হবে। তবে ভারতের এই পদক্ষেপ চীনের পাল্টা বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
জানা গিয়েছে, শুরুতে ভুটানের মাটিতে একটি স্যাটেলাইট নজরদারি ও ডেটা রিসেপশন কেন্দ্র খুলছে ভারত। ইসরোর তরফ থেকে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) থেকে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের স্বয়ংশাসিত অঞ্চলে বেজিং ইতিমধ্যেই এই ধরনের কেন্দ্র তৈরি করে ফেলেছে। সেখানে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রও গড়েছে তারা। তিব্বতের ওই উপগ্রহ কেন্দ্রটির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নজরদারির জন্যই এই উদ্যোগ। ভারতের এই স্টেশনকে তিব্বতে চীনের স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং পরিকাঠামোর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবান জানিয়েছেন, বিদেশ মন্ত্রক ও ইসরো এই মিশনের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ১২ ডিসেম্বর ওই দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকও হয়েছে। গত বছর ইসরো এসব দেশে কয়েকটি টার্মিনাল চালু করেছে। এর ফলে টেলিভিশন সম্প্রচার, ভিডিও কনফারেন্স, ডাটা মেসিজিং সহজ হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত গত ৫ মে সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। এতে ব্যয় হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমেই এই পরিষেবা প্রদান করা হবে। ২০১৭-তে ভারতের খরচে ইসরো দক্ষিণ এশিয়া উপগ্রহটিকে মহাকাশে ছাড়ে। সার্ক সদস্যভূক্ত দেশগুলির জন্য তৈরি করা হয়েছিল পৃথক এই উপগ্রহ। গোটা প্রকল্পটি থেকে অবশ্য সে সময় সরে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তান।