বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। নিমতা থানার পুলিস রাতের অন্ধকারে দুর্গানগরের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কিঙ্কর সরকারকে। যিনি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য। কেন তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল, সেই প্রশ্নের সূত্রপাত তখন থেকে। ধৃতের পরিবার পরবর্তীকালে জানতে পারে, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, নৈহাটি প্রভৃতি থানার বিভিন্ন মামলার সঙ্গে ধৃত যুক্ত হয়েছেন। ওই মামলাগুলির জেরে তাঁকে বারংবার পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাঁর নামে কোনও এফআইআর হয়েছে কি? কেউ কি ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন? এইসব সাধারণ প্রশ্নের জবাব কেউ ধৃতের পরিবারকে দেয়নি।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, পুলিস বা প্রশাসনের এমন ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে পিঙ্কি রাজ্য পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল, বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট ও নিমতা থানার কাছে উপরোক্ত প্রশ্নগুলিরই উত্তর প্রার্থনা করেন। কিন্তু, সাড়া না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম শুনানির দিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আশিস চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, কোনও লিখিত অভিযোগই যদি না থাকে, তাহলে কেন ওই ব্যক্তিকে ধরে রাখা হয়েছে? যদি নথিবদ্ধ অভিযোগ বা এফআইআর হয়ে থাকে, কেন তার তথ্য দেওয়া হবে না? তিনি দাবি করেন, ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তকে পুলিস ডেকে পাঠায়। যদি সেইমতো হাজিরা দিয়ে অভিযুক্ত পুলিসি প্রশ্নের সদুত্তর না দিতে পারেন, তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়। এই আইনি ব্যবস্থাকে এক্ষেত্রে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। সেই সূত্রে সরকারকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
এদিন সেই প্রেক্ষাপটে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে পাল্টা উপরোক্ত প্রশ্ন তুলে জানান, ফৌজদারি আইন অনুযায়ী চলা কোনও মামলায় এই আদালত (রিট কোর্ট) এমন পদক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু, বিচারপতি ভিন্ন অভিমত দিয়ে জানান, প্রদত্ত আইনি ক্ষমতা অনুযায়ী এই আদালত সংবিধান বা ফৌজদারি আইনের পরিধিতেও ঢুকতে পারে। তবে এই প্রসঙ্গে যদি সুপ্রিম কোর্টের কোনও গাইডলাইন থাকে, তাহলে রাজ্য তা পেশ করতে পারে।