বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন হচ্ছে, তা নিয়ে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন। যেমন, নদীয়ার মোবারকপুর কলোনি হাইস্কুলে (এইচএস) এক ছাত্রের কাছ থেকে পরীক্ষা চলাকালীনই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে ফোন করা হলে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রকাশচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পরীক্ষা চলাকালীনই ছেলেটির কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া যায়। পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা আসেন। মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবিও পাওয়া গিয়েছে বলে আমি জানি। ছেলেটির খাতা ‘আরএ’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপাতত। তবে, তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।
এভাবেই ঢিলেঢালা নজরদারিতে বহু ছাত্রছাত্রীই মোবাইল নিয়ে ঢুকে পড়তে পারছে। কেউ ধরা পড়ছে। আবার কেউ পড়ছে না। মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত পাঁচজন মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেখানেই গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতায় পরীক্ষা পরিচালনায় থাকা বিভিন্ন শিক্ষক-আধিকারিকরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন। পরীক্ষার খুঁটিনাটি তথ্য তাতে শেয়ার করা হচ্ছে। সেই কথোপকথনে অব্যবস্থা দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে। উত্তর কলকাতার নামী স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করছেন, তাদের প্রশ্নপত্র দেওয়ার সময় ভেন্যু ইনচার্জদের পাওয়া যাচ্ছে না। আমহার্স্ট স্ট্রিট সেন্টারের অধীনে থাকা শিয়ালদহ এলাকার একটি নামী স্কুলের ভেন্যু ইনচার্জ সকাল সাড়ে ১০টার আগে ঢুকতে পারেননি। এদিকে, তাঁর অনুপস্থিতিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকও প্রশ্নপত্রের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে একজন আধিকারিক উর্ধ্বতনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। কোনও স্কুলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা আবার জানিয়ে দিচ্ছেন, এই পরীক্ষা শেষ হল।
এখানে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, বার বার যেখানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে পরীক্ষা ব্যবস্থায় জড়িতরা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করবেনই বা কেন? ছাত্রদের যেখানে বলা হয়েছে, কোনও ডিজিটাল ঘড়ি ব্যবহার করা যাবে না, অ্যানালগ ঘড়িই পড়তে হবে, সেখানে শিক্ষকদের কেন ফিচার ফোন ব্যবহার করতে বাধ্য করা হবে না? পরীক্ষাব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরিরই বা কী প্রয়োজন? ফোন কলেই তো কাজ সারা যেতে পারে। পরীক্ষায় হাইটেক টুকলি ঠেকাতে বিশেষ নেটওয়ার্ক স্ক্রিনিং ডিভাইস কিনেছিলেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজাম বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখন আর শুধু মোবাইলে নয়, কলম, ঘড়ি, কানের দুল এমনকী জামার বোতামেও ক্যামেরা থাকতে পারে। সেসব ঠেকাতেই টেন্ডার করে ওই যন্ত্রগুলি কেনা হয়েছিল। রাজ্য সরকার সেগুলি আরও বেশি সংখ্যায় আনিয়ে ব্যবহার করতেই পারে।
এদিকে, কলকাতার বুকেই বেশ কিছু স্কুলে অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। গার্ডেনরিচ প্রধান ভেন্যুর অধীনে থাকা একটি কেন্দ্রে যে স্কুলের সিট পড়েছে, সেই কেন্দ্রে পর্ষদের মনোনীত প্রার্থী ওই স্কুলেরই সভাপতি। নিয়ম ভেঙে এক কর্তা তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘুরছেন। শিক্ষকদের ব্রাত্য রাখার জন্য পুরসভা থেকেও লোক আনতে হয়েছে। তাঁরা পরীক্ষার কিছুই বোঝেন না। অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণে তাঁরা কিছুই বুঝতে পারেননি। ফলে সব গুলিয়ে ফেলছেন।