বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ শহরতলিতে এক দুঁদে বাম আইনজীবীর বাড়িতে কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্বের মধ্যে এনিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় কংগ্রেসের তরফে হাজির ছিলেন আব্দুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। অন্যদিকে সিপিএমের হয়ে কথা বলেন সুজন চক্রবর্তী ও রবীন দেব। তবে কোনওপক্ষই এই আলোচনা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চায়নি। তবে জোট নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেছে উভয় শিবির। কয়েকদিনের মধ্যে ফের দ্বিতীয় দফার বৈঠক হবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তার মধ্যে ফ্রন্টের বাকি শরিকদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনার সেরে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা করবে আলিমুদ্দিন। শেষ লগ্নে সূর্যকান্ত মিশ্র এবং সোমেন মিত্র’র মতো দুই শিবিরের শীর্ষ নেতারা মুখোমুখি বসে আসন ফয়সালা করতে পারেন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারও তাঁরা যৌথভাবে প্রার্থী ঘোষণা করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বুধবারের আলোচনায় সিপিএমের তরফে গোড়াতেই বলা হয়, দু’পক্ষের ছ’টি জেতা আসনে কেউ কারও বাধা হবে না। মান্নানরা এই ফর্মুলার সঙ্গে একমত হলেও এনিয়ে দলের অন্দরের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, সিপিএমের ঝুলিতে এখন যে দুটি আসন রয়েছে, সেই রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে যথাক্রমে দীপা দাশমুন্সি ও আবু হেনাকে প্রার্থী করার দাবি উঠেছে দলের ভিতরে। দীপার ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জে এই মর্মে প্রচার শুরু করেছেন বলে খবর। অন্যদিকে, আবু হেনাকে মুর্শিদাবাদে দাঁড় করাতে চাইছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সুজনবাবুরা পাল্টা জানান, তাঁদের দুই বর্তমান সাংসদ মহম্মদ সেলিম এবং বদরুদ্দোজাকে কোনও যুক্তিতেই সরানো যায় না। একইভাবে কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকা চারটি আসনেও বামেদের প্রার্থী দেওয়া ঠিক হবে না। এমনকী, মৌসম নুর তৃণমূলে চলে গেলেও তাঁর কেন্দ্রটি কংগ্রেসকেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। তবে মান্নানরা এবিষয়ে একমত হলেও কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি এদিন। দ্বিতীয়ত, গত লোকসভা নির্বাচনে কারা কোথায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল, তার ভিত্তিতে আসন রফার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে বলে সিপিএমের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই নিরিখে কংগ্রেসের ভাগ্যে তুলনায় অনেক কম আসন জুটবে। মান্নানরা অবশ্য গত বিধানসভা নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দ্বিতীয় ফর্মুলাটি পুরোপুরি মানতে পারেননি। তবে যা খবর, তাতে সব মিলিয়ে ১৪-১৫টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে রাজি আছে সিপিএম। বাকি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বামফ্রন্ট লড়বে। বামেদের তৃতীয় বা চতুর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন আসনে প্রার্থী দিতে চায় না সিপিএম নেতৃত্ব। এটা মান্নানদের বুঝিয়ে দিয়েছেন রবীন-সুজনরা।