পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
আরএসপি সূত্রের খবর, মাস দুই আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত পার্টি কংগ্রেসে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন ক্ষিতিবাবু। তার আগে থেকেই অবশ্য তিনি দলের রাজ্য সম্পাদক পদে আসীন ছিলেন। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দলের এক নম্বর পদের দায়িত্ব নিতে একপ্রকার বাধ্য হন তিনি। তবে চিরকাল বাংলায় রাজনীতি করে আসা ক্ষিতিবাবু সেই সময় রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়াননি। সেই সময় ঠিক ছিল, লোকসভা ভোটের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তিনি কোন পদটি শেষমেশ ধরে রাখবেন, সেটা স্থির করবেন। কিন্তু একই সঙ্গে দু’টি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে দলের গঠনতন্ত্রে কোনও বিধান না থাকায় আরএসপি’র ঘরে-বাইরে ক্ষিতিবাবুকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তিনি রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি চান। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরই প্রস্তাবমতো বিশ্বনাথবাবুকে ওই পদের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতার অনেক দূরে বাড়ি হলেও শহরে এসে তিনি বিধানসভায় বিধায়কের এবং বাইরে দলের দায়িত্ব সামলাতে পারবেন বলে দাবি করেছেন বিশ্বনাথবাবু।
এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠকে বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে প্রাথমিক কিছু আলোচনা হয়। রাজ্য পার্টির দায়িত্ব নেওয়ার পর ৩ ফেব্রুয়ারি বামফ্রন্টের ব্রিগেডে বিভিন্ন জেলা থেকে দলের কত সমর্থককে নিয়ে আসতে পারেন, সেটাই বিশ্বনাথবাবুর কাছে প্রথম সাংগঠনিক পরীক্ষা হতে চলেছে। বিভিন্ন জেলার নেতারা যা হিসেব দিয়েছেন, তাতে দলের অন্তত ১২ হাজার সমর্থক সেদিন ব্রিগেডে আসবে বলে ঠিক হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যতই আসুক না কেন, নিজেদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বোঝাতে এবার তারা আলাদা করে শিয়ালদহ থেকে একটি মিছিল করে ব্রিগেড যাবে বলে ঠিক করেছে। অন্যদিকে, শীত কমলেই ক্ষিতিবাবু কিছুদিনের জন্য দিল্লি যাবেন সাধারণ সম্পাদকের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের কাজে। কেরলে কংগ্রেস জোটের অন্যতম শরিক আরএসপি’র মালয়ালি নেতাদের কোনওভাবে আবার যাতে বাম শিবিরে ফিরিয়ে আনা যায়, সেব্যাপারে উদ্যোগী হবেন তিনি। এজন্য সিপিএম-সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় ও কেরলের নেতাদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন বলে ঠিক করেছেন।