পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
তবে এ বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীকে সোমবার জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিলের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। তবে এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কড়া মনোভাবের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ধর্মঘটের দিন নোটিস দিয়ে প্রত্যেককে আসতে বলা হয়েছিল। তাঁরা আসেননি কেন? নিয়ম অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুরসভা কর্তৃপক্ষ নেবে। পুরসভার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন করা হবে বলে জানিয়েছে বামেরা। পুরসভার বিরোধী দলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, ১ জন স্থায়ী, ৩ জন প্যাকেজ কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিস ও ৩ জন দৈনিক মজুরির ভিত্তিক, ১ জন প্যাকেজ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা সুনীল চক্রবর্তী এদিন বলেন, ধর্মঘট গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রয়োজন হলে বেতন কাটতে পারে, তা বলে কোনও কারণ ছাড়া শোকজ, বহিষ্কার করার অধিকার নেই। তবে যে ৪ জনকে শোকজ করেছে তাদের সই করতে দেওয়া হচ্ছে। ওই কর্মীরা শোকজের জবাব দিলেও পুরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যুত্তরে চিঠি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বহিষ্কারের চিঠি পাওয়া এক কর্মী অবশ্য এদিন জানান, আমি গত ৫ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত আগেই ছুটি নিয়ে ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাহলে কী করে ধর্মটের জন্য অনুপস্থিত হলাম তাও বুঝতে পারছি না। আমাকে বহিষ্কারের যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে ধর্মঘটের দিন না থাকার জন্য চাকরি গিয়েছে এরকম কথাও লেখা হয়নি। বহিষ্কারের চিঠি পাওয়া আরেক কর্মী জানান, ধর্মঘটের দিন হাজির না থাকায় চাকরি গিয়েছে চিঠিতে তা না লেখা হলেও জবাব চাইতে গেলে মুখে এটা বলা হচ্ছে।