বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
হাসপাতাল ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম শিউলি অধিকারী। মধ্যমগ্রামের আবদালপুরে তাঁর বাড়ি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হন। মধ্যমগ্রামেই একটি লরি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তাঁর ডান হাতের উপর দিয়ে লরির চাকা চলে গিয়েছিল। পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে সাড়ে ৭টা নাগাদ বারাসত জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা রোগী দেখা মাত্র বুঝতে পারেন, অপারেশন করতে হবে এবং হাত কেটে বাদও দিতে হবে।
খোঁজ শুরু হয় বাড়ির লোকের। কারণ এতবড় অপারেশনে বাড়ির লোকের সম্মতি দরকার। কিন্তু বাড়ির লোকজন কেউ তখন ছিলেন না। এদিকে, রোগীর অস্বাভাবিক রক্তরক্ষণ হচ্ছিল। তাই অন্যত্র রেফার করারও উপায় ছিল না।
মিনিট দু-তিনের মধ্যেই হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল চিকিৎসকদের বলেন, আপনারা অপারেশন শুরু করুন। তিনিই বাড়ির লোকের হয়ে সম্মতি দেন। সুপার নিজে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্তের ব্যবস্থা করেন। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ শিউলিদেবীর মা আলো অধিকারী এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজন যখন হাসপাতালে পৌঁছন, তখন অপারেশন শেষ।
সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, যে কোনও অপারেশনেই বাড়ির লোকের সম্মতি লাগে। এটাই নিয়ম। কিন্তু এক্ষেত্রে চিকিৎসায় যাতে কোনও বিলম্ব না হয়, তার জন্য আমরা রোগী আসা মাত্রই অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাই। হাতের উপর দিয়ে লরি চলে যাওয়ায় হাতটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে। তবে আমাদের পরিকাঠামোয় এতবড় অপারেশনের পর তিনি সুস্থ আছেন। বুধবার দুপুরে ভাতও খেয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা যদি বাড়ির লোকজনের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করতাম, তাহলে রোগীকে বাঁচাতে পারতাম না। তাঁকে অন্যত্র রেফার করলেও, রোগী যাওয়ার পথেই মারা যেত। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, এই রোগীর কৃত্রিম হাত লাগানোর ব্যাপারে আমরা কলকাতার নীলরতন হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলব।